জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে ইতিমধ্যেই হিতেশ শর্মা ও নিখিল পূজারিকে সই করাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ইস্টবেঙ্গল। তবে দলের স্ট্রাইকার সমস্যা মেটাতে এবার উদ্যোগ নিচ্ছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। সিভারিওর এই আইএসএলের পারফরমেন্স নিয়ে খুশি নন কেউই। আটটি ম্যাচে গোলসংখ্যা শূন্য। অ্যাসিস্টও নেই। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে যদিও একই সঙ্গে দুই বিদেশিকে বদল করার কথা বলা হয়েছিল।
তবে দু'জন বিদেশি বদলের সম্ভাবনা বেশ কম। কারণ তার জন্য প্রয়োজন প্রচুর টাকা। প্রথমে দুই জনকে বাদ দিতে হলে তাদের যেমন ক্ষতিপূরন দিতে হবে, তেমনই নতুন দুই ফুটবলারকে সই করাতেও টাকা দিতে হবে। ফলে অনেক টাকা লাগবে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাদের দু'জন বিদেশি বদলের সম্ভাবনা বেশ কম। তাই সম্ভবত একজন বিদেশি বদলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে অনেকটাই 'এগিয়ে' আছেন সিভারিও। সূত্রের খবর, কোচ কুয়াদ্রাত সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন। বদলি ফুটবলারের খোঁজখবর নিচ্ছেন কিছুদিন ধরেই। খোঁজ ভারতীয় ফুটবলারদেরও। কার্লেস নিজেও চাইছেন জানুয়ারি উইন্ডো কাজে লাগাতে। কিন্তু বাজেট নিয়েই সমস্যা। জানুয়ারি উইন্ডোতে কতটা বদল হয়, সেটাই দেখার।
সিভেরিওর বদলে এক স্প্যানিশ স্ট্রাইকারকে সই করাতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। শোনা যাচ্ছে তাঁর ভিসাও নাকি হয়ে গিয়েছে। কুয়াদ্রাতের পছন্দের এই স্ট্রাইকার নাকি স্পেনের জাতীয় দলের স্কোয়াডেও ডাক পেয়েছিলেন। তবে তাঁর ইস্টবেঙ্গলে আসা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাই নিশ্চিত ভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না। সুপার কাপের আগেই সেই ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি ফাইনাল করতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল। তবে শুধু এই এক স্ট্রাইকার নয়, ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার বার্গসন দ্য সিলভাকেও নাকি সই করাতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। তিনি আবার মালয়েশিয়া সুপার লিগে খেলছেন। তবে কিছুই এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
এর সঙ্গে তিন বছরের চুক্তিতে মহমেডান থেকে ডেভিড লালহানসাঙ্গার সঙ্গে চুক্তিও নাকি করে ফেলেছে লাল-হলুদ। আইএসএল-এ খেলার ইচ্ছে ছিল কলকাতা লিগে সর্বোচ্চ গোল স্কোরারের। সেই কারণেই ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছেন তিনি। এক বিদেশি স্ট্রাইকারের সঙ্গে ক্লেইটন ও আরও এক ভারতীয় স্ট্রাইকার যদি দলে চলে আসেন তবে ইস্টবেঙ্গলের স্ট্রাইকার সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।