জাভিয়ার সিভেরিওর জায়গায় ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) সই করেছেন কোস্টারিকান স্ট্রাইকার ফেলিসিও (Felicio Brown)। এই তারকা লাল-হলুদে সই করায় তাঁকে নিয়ে উন্মাদনা শুরু হয়েছে সমর্থকদের মধ্যে। তবে কতদিনে ইস্টবেঙ্গল দলের সঙ্গে তিনি যোগ দিতে পারবেন তা নিয়ে বেশ সন্দেহ রয়েছে। তবে সই করার পরেই আইএসএল-এর (ISL) সমস্ত দলকেই হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন ফেলিসিও।
লাল-হলুদে সই করে ফেলিসিও বলেন, ‘আমি ভারতে খেলতে পেরে মুখিয়ে আছি। ইস্টবেঙ্গলের মত আইকনিক ক্লাবে খেলতে পারাটা গর্বের। আমার নতুন দল সুপার কাপ জিতেছে তাই আমি তাদের এই সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই। আমি আশা করছি আমার আগমণে সমর্থকরা খুশি হবেন এবং আমার দলের হয়ে আমি ISL-এর দ্বিতীয় পর্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেব। জয় ইস্টবেঙ্গল।’
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বিদেশি নির্বাচনে চমক দিয়ে যাচ্ছেন। মরসুম শুরুর পরেই হিজাজি মেহেরকে জর্ডন থেকে এনে সই করিয়েছিলেন কুয়াদ্রাত। তাঁর বাছা প্লেয়াররা প্রায় সকলেই সাফল্যের মুখ দেখিয়েছেন। ফেলিসিওকে সই করিয়ে কুয়াদ্রাত বলেন, ‘ফেলিসিওকে নিয়ে আমাদের আক্রমণভাগ অনেক শক্তিশালী হল, ওর ইউরোপে অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। টপ লিগে খেলেছেন দীর্ঘদিন ধরে। এশিয়ান ফুটবলেও খেলেছেন তিনি। চাইনিজ সুপার লিগে ২০টিরও বেশি গোল করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ও চিনে কয়েক বছর আগে ও নিজের মরসুম শেষ করেছে। ও তাই তৈরি হয়ে আসছে দলকে সাহায্য করতে। যখন ওকে দরকার তখন ও দলের পাশে দাঁড়াবে।’
বার্লিনে জন্ম হলেও কোস্টারিকায় চলে গিয়েছিলেন ফেলিসিও। জার্মানির হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ ও ২০ দলের হয়ে খেলেছিলেন। তবে জার্মানির সিনিয়র দলে সুযোগ পাননি। কোস্টারিকার সিনিয়র দলের হয়ে তিনি খেলেছেন। ২০১১ সালে জার্মানির ক্লাব কার্স জিস জেনার হয়ে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক করেন।