জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে ভাল ফুটবলার নিয়ে এসে বাকি মরসুম ভালভাবে শেষ করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ ইস্টবেঙ্গলের কাছে। তবে ভাল ফুটবলার আনতে হলে, টাকার প্রয়োজন। বিনিয়োগকারী সংস্থা ইমামির পক্ষে অত টাকা দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। তাই দলের স্বার্থে অর্থ সাহায্য দিতে প্রস্তুত ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তারা।
সুপার কাপের প্রস্তুতি শুরু করে দিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবও। আইএসএলের বিরতি থাকায় ফুটবলারদের ছুটি দিয়েছেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। সুপার কাপের আগে ৪ জানুয়ারি ফুটবলারদের যোগ দিতে বলা হয়েছে। ৯ জানুয়ারি সুপার কাপে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচ। তাদের প্রতিপক্ষ হায়দরাবাদ এফসি। প্রথম ম্যাচেই সামনে আইএসএলের কঠিন প্রতিপক্ষ। ফলে ভালো খেলাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে ভাল কিছু ফুটবলার সই করতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। ক্লাব কর্তারা বিনিয়োগকারী সংস্থা ইমামির সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলবেন বলেও জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে ইমামিকে অর্থ সাহায্যও তুলে দেওয়া হতে পারে। মরসুমের শুরু থেকেই দল গঠন ও ক্লাবের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ক্রাউড ফান্ডিং শুরু করেছিল লাল-হলুদ ক্লাব। সেই অর্থই বিনিয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এবারের আইএসএল-এ তুলনামূলক ভালো খেললেও, প্রথম ছয়ে থেকে প্লে অফে দল যেতে পারবে কিনা তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না লাল-হলুদ সমর্থকরা।
ইস্টবেঙ্গল দলের চাপ বেড়েছে গোল করতে না পারায়। একটা সময় গোল করলেও তা ধরে রাখতে পারছিল না তারা। আর এবারে সমস্যাটা স্ট্রাইকারদের ধারাবাহিকতায়। ডিফেন্ডাররা নিজেদের কাজ ঠিকভাবে করতে পারলেও, গোল পাচ্ছেন না ক্লেইটন সিলভারা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কয়েকজন বিদেশী ফুটবলারদের নিয়েও। এরমধ্যেই কার্লস কুয়াদ্রাতদের জন্য ভাল খবর হল, তাঁরা টানা পাঁচ ম্যাচ ক্লিন শিট ধরে রেখেছেন।
১৯ জানুয়ারি সুপার কাপে ডার্বি। সেই ডার্বিতে জুয়ান ফেরান্দো ছয় বিদেশীকে পেলেও ভারতীয় ফুটবলারদের অনেককেই পাবেন না। কারণ জাতীয় দলের জন্য ফুটবলারদের ছাড়তে হবে। তার উপর বেশকিছু ফুটবলরের চোট রয়েছে। ফলে কিছুটা হলেও সুবিধা পাবে ইস্টবেঙ্গল। তাই সেই ডার্বির জন্য প্রস্তুতি নিতে চান লাল হলুদ কোচ। দুই প্রধান সুপার কাপে অংশ নিলেও মহমেডান স্পোর্টিং আই লিগে ভালো খেলার লক্ষ্যে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।