লোনে ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) এলেন জাতীয় দলের তারকা ফুটবলার নিশু কুমার (Nishu Kumar)। এক বছরের লোনে লাল-হলুদে তারকা ফুটবলার। কার্লেস কুয়াদ্রাত যখন বেঙ্গালুরু এফসি-র কোচ ছিলেন, সেই সময় নিশু কুমারও ছিলেন সেই দলে। ২০১৮-১৯ মরশুমে আইএসএল জিতেছিল সেই দল।
নিশু ২০২০-২১ মরশুমে আইএসএল-এর আগে কেরল ব্লাস্টার্সে যোগ দিয়েছিলেন নিশু। ২০২২-২৩ মরশুমে নিশু ১৭টি ম্যাচে একটা অ্যাসিস্টও করেছেন ১২টি ইন্টারসেপশন, ২২টি ক্লিনশিট এবং ১৫টি সফল ট্যাকল। ফিটনেসের দিক থেকেও দারুণ ভালো রেকর্ড তাঁর খেলেছেন সব ক’টি ম্যাচ। সামগ্রিকভাবে, এখন পর্যন্ত তার ৮২টি আইএসএল ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে। নিশু ৩টি গোল, ২টি অ্যাসিস্ট করেছেন। তাই বলা যায় নিশু কুমার ডিফেন্সের পাশাপাশি অ্যাটাকেও যেতে পারেন। তারকা ফুটবলার দলে ভারসাম্য আরও ভালো হল। ইস্টবেঙ্গল দলে ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন নন্দকুমাররা। এবার যোগ দিলেন নিশু। ১ বছরের লোনে।
কেরল থেকে লোনে তাঁকে নেওয়ার জন্য অনেকদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছিল ইস্টবেঙ্গল। এবার সেই চেষ্টা সফল হল। গত মরশুমে ক্লেইটন সিলভা, নাওরেম মহেশ সিংরা প্রচুর গোল করলেও, সেই গোল ধরে রাখার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। ফলে গোল করলেও তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হন লাল-হলুদ ফুটবলররা। তবে এবার সেই খামতি ঢাকতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল। সেই জন্যই বিদেশি ডিফেন্ডারদের পাশাপাশি ভারতীয় ডিফেন্ডারদের দলে নিতে ঝাঁপাচ্ছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল।
আগামী বছর অবধি কেরলের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে নিশুর। তাই নিশুকে ১ বছরের লোনে সই করাল ইস্টবেঙ্গল। ভালো খেলতে পারলে চুক্তি বাড়াবে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। কোচ কুয়াদ্রাতের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক এই ডিফেন্ডারের। দারুণ কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন তাঁরা। আবারও সেই মুহূর্ত ইস্টবেঙ্গলে ফেরত আসে কিনা সেটাই এখন দেখার। লাল-হলুদ সমর্থকরাও নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন ক্লাবকে পুরনো ছন্দে ফিরে পাওয়ার। কর্তারাও চেষ্টা চালাচ্ছেন সাধ্যমত। তবে পারফর্ম করতে হবে ফুটবলারদের। খাতায় কলমে বেশ ভালো দলই গড়ছে ইস্টবেঙ্গল।