ক্লাবের পুরোনো ফুটবলরকে সই করাতে যখন মরিয়া ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) তখনই প্রস্তাব দিয়ে বসল মুম্বই সিটি এফসি (Mumbai City FC)। ফলে নিখিল পূজারিকে (Nikhil Poojary) নিয়ে সরগরম হতে পারে জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডো। তবে খোদ কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত নিখিলের নাম দেওয়ায়, অল আউট ঝাঁপাতে চায় লাল-হলুদ।
লাল-হলুদের সঙ্গে টক্কর মুম্বইয়ের
বাজেট একটা বড় সমস্যা ইস্টবেঙ্গলে। তবে নিখিলের জন্য বাজেট পেরিয়ে গেলেও লড়াই চালিয়ে যেতে চাইছে লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই চার পছন্দের ফুটবলরের নাম কুয়াদ্রাত পাঠিয়ে দিয়েছেন। আবার কুয়াদ্রাতের এজেন্ট ও নিখিলের এজেন্ট একই। ফলে কিছুটা হলেও এদিক থেকে এগিয়ে কলকাতার ক্লাব। যদিও টাকার অঙ্কের কথা বিচার করা যায়, তা হলে যদিও পিছিয়ে পড়তে পারে ইস্টবেঙ্গল।
এই মুহূর্তে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে দোহায় রয়েছেন নিখিল। সেখানেই হায়দরাবাদ এফসি-র ফুটবলরকে প্রস্তাব পাঠিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। রাহুল ভেকে হায়দরাবাদ ছেড়ে দেওয়ায়, তাঁর জায়গাতেই নিখিলকে সই করতে চাইছে মুম্বই। তবে এ ক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে তাদের লড়াই সহজ হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
নিখিলকে নিতে কত টাকা খরচ হতে পারে?
আর্থিক সমস্যায় ভুগছে নিখিলের ক্লাব হায়দরাবাদ এফসি। ট্রান্সফার মার্কেট অনুসারে নিখিলের বার্ষিক স্যালারি ২ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা। এর থেকে বেশি টাকার প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি। আগেই ইস্টবেঙ্গল প্রস্তাব দিয়েছিল। আর এবার প্রস্তাব দিয়েছে মুম্বই। ফলে সব মিলিয়ে মনে করাই যায়, প্রায় তিন কোটি টাকার প্রস্তাব রয়েছে তাঁর কাছে।
সুপার কাপের আগে অনুশীলন শুরু করছে ইস্টবেঙ্গল
সুপার কাপের জন্য প্রস্তুতি শুরু করছে লাল-হলুদ। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের অনুশীলন মাঠে আগামীকাল থেকে শুরু হবে প্র্যাক্টিস। ৮ তারিখ ভুবনেশ্বর যাবে ইস্টবেঙ্গল। ৯ তারিখ সুপার কাপে প্রথম ম্যাচে খেলতে নামবে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। মঙ্গলবারের ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ হায়দরাবাদ এফসি। তার আগে যদি নিখিলের ডিল ইস্টবেঙ্গল ফাইনাল করে ফেলতে পারে তা হলে সুবিধা হবে দলের। রবিবার দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ইস্টবেনহল। প্রতিপক্ষ শ্রীনিধি ডেকান এফসি। ১৯ জানুয়ারি ডার্বি।