আইএসএল-এর (ISL 2024) শেষ দুই ম্যাচে জিতলে প্রথম ছয়ে থাকা কিছুটা হলেও নিশ্চিত হবে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। তবে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর দিকে। পরের মরসুমে দলবদলের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে লাল-হলুদ। পরের মরসুমে বাজেট আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনটাই জানানো হয়েছে লগ্নিকারী সংস্থার পক্ষ থেকে। শোনা যাচ্ছে, নতুন বিদেশি নেওয়ার জন্য বাংলাদেশে চোখ ইস্টবেঙ্গলের। বসুন্ধরা কিংসের রবিনহোর (Robinho) খেলা দেখতে প্রাক্তন ফুটবলার আলভিটো ডি কুনহাকে পাঠাচ্ছে বলে সূত্রের খবর। তিনি আবাহনী ক্রীড়াচক্র বনাম বসুন্ধরা কিংসের খেলা দেখছেন। সেই ম্যাচে রবিনহোর পারফরম্যান্স দেখার পাশাপাশি প্রাথমিক প্রস্তাব আলভিটো দিয়ে আসবেন বলে জানা গিয়েছে।
রবিনহোকে সই করাতে কত খরচ?
রবিনহোকে সই করাতে বিরাট খরচ করতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। এই মরসুমে তাঁর মাইনে ৬ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। ফলে ইস্টবেঙ্গলকে সই করাতে হলে আরও বেশি টাকা খরচ করতে হবে লাল-হলুদকে।
কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত ভারতীয় ফুটবলারদের সই করানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। সেই মতোই মহমেডান স্পোর্টিং থেকে ডেভিডকে তুলে নেওয়া কার্যত পাকা করার পরে আইজল এফসির লালরিনজুয়ালাকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে ঝাঁপাল ইস্টবেঙ্গল। আই লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা এই তরুন উইঙ্গার। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এবং জামশেদপুর এফসিও লালরিনজুয়ালাকে দলে নিতে চাইছে। নতুন মরসুমে কলকাতা লিগের জন্য শক্তিশালী দল গড়তে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। সেই জন্য ভবানীপুর ক্লাবের চাকু মাণ্ডি এবং বিজয় মর্মুকে সই করিয়েছেন লাল হলুদ রিক্রুটাররা।
কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিল, দিমিত্রিয়াস ডিমানতাকোসক বড় অঙ্কের প্রস্তাব দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তবে ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলছেন নজরে থাকলেও চাহিদা বেশি হওয়ায় তাঁকে দলে নেওয়ার জন্য ঝাপাচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল। তবে পঞ্জাব এফসির ফরাসি স্ট্রাইকার মাদিয়া তালালকে যে দলে নেওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়েছে তা মেনে নিয়েছেন।
এ মরসুমে প্লে অফে যাওয়ার লড়াই কঠিন হয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। লাল-হলুদের লক্ষ্য পরের মরসুমে ভাল দল গড়া। যাতে এএফসি কাপে ভাল পারফর্ম করতে পারে তারা। ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা সুপার কাপ জেতার পর উচ্ছ্বাসে ভেসেছিলেন। আর পরের মরসুমে কুয়াদ্রাতের হাত ধরেই আইএসএল জিততে চাইছে লাল-হলুদ।