পরের মরসুমে পাঁচ বিদেশি ফুটবলারকে ছেড়ে দিতে পারে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ডুরান্ড কাপে দারুণ ছন্দে ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের জর্ডন এলসে। তাঁর চোটের জেরে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল লাল-হলুদকে। বাধ্য হয়েই তাঁর জায়গায় হিজাজি মাহেরকে সই করিয়েছিল লাল-হলুদ। তিনি বাকি মরসুম ভাল খেলেছেন। পরের মরসুমের জন্য তাঁর সঙ্গে আবারও চুক্তি করতে পারে লাল-হলুদ। এমনটাই সূত্রের খবর। তবে সেক্ষেত্রে জর্ডন বাদ পড়তে পারেন।
সূত্রের খবর, জর্ডন এলসের চোট এখনও সারেনি। পরের মরসুমে তাঁর সঙ্গে চুক্তি নাও বাড়াতে পারে ইস্টবেঙ্গল। এলসের চোট না সারায় এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে লাল-হলুদ। জর্ডন ডুরান্ড কাপে ভাল খেললেও পরে আর ফিরতে পারেননি। এর পরে জর্ডনে গিয়ে হিজাজির সঙ্গে চুক্তি করে আসেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তবে সুপার কাপে দারুণ ছন্দে থেকে হিজাজি দলকে কাপ এনে দিয়েছেন। তবে শুধু এলসে নয়, বাদ পড়তে পারেন ফেলিসিও ব্রাউন, আলেকজান্ডার প্যান্টিচ, ভালস্কেজ ও হোসে পার্দো। এদের জয়াগায় নতুন বিদেশিদের খোঁজ শুরু করে দিয়েছেন লাল-হলুদের রিক্রুটাররা।
সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হলেও, এবারের আইএসএল-এও প্লে অফে পৌঁছতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। পাশাপাশি পরের মরসুমে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-র প্লে অফে খেলবে লাল-হলুদ। ফলে দল আরও গুছিয়ে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে শুধু বিদেশি ফুটবলার বদল নয়, বদল করতে হবে ভারতীয় ফুটবলারদেরও। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন ভারতীয় ফুটবলারের পাশাপাশি বিদেশি ফুটবলারের সঙ্গেও প্রি কন্ট্রাক্ট হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছেন মহামেডানের ডেভিড, তেমনই রয়েছেন পঞ্জাব এফসি-র অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার মাদিয়া তালাল।
পরের মরসুমে আরও কয়েকজন ভাল মানের ভারতীয় ও বিদেশি ফুটবলার সই করিয়ে দলকে আরও শক্তিশালি করতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। পাশাপাশি পরের মরসুমে দলের বাজেটও যে বাড়ছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। তবে তা কত বাড়বে, বা সেই বাজেট পড়শি চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে ছাড়িয়ে যাবে কি না তা জানাননি তাঁরা।