নতুন মরসুমে প্যালেস্তাইনের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মহম্মদ রশিদকে (Mohammed Rashid) সই করাতে পারে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ইতিমধ্যেই ক্লেইটন সিলভা, মাদিয়া তালালরা ইতিমধ্যেই সই করেছেন লাল-হলুদ ক্লাবে। পরের মরসুমে ইস্টবেঙ্গল এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে অফে খেলতে নামবে। সুপার কাপ জিতে এই টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল।
সেই কারণেই আরও এক ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারকে সই করাতে চাইছে লাল-হলুদ। এমনটাই সূত্রের খবর। ২৮ বছর বয়সী এই ফুটবলার খেলেন প্যালেস্তাইনের জাতীয় দলে। পাশাপাশি খেলেছেন প্যালেস্তাইনের অনূর্ধ্ব-২৩ দলেও খেলেছেন। ইন্দোনেশিয়ার প্রথম ডিভিশনের ক্লাব বালি ইউনাইটেড এফসি-র হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলেন মহম্মদ রশিদ। এই মরসুমে ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা তাঁর স্যালারি হলেও, ইস্টবেঙ্গলে এলে সেই স্যালারি যে বাড়বে তা সকলেই জানেন। সেই পরিমাণ তিন কোটি টাকার দিকে চলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে খুব নামি কোনও ক্লাবে না খেললেও সৌদি আরবের ক্লাবেও খেলেছেন মহম্মদ রশিদ।
এই মরসুমে ২৬টি ম্যাচ খেলেছেন রশিদ। সেখানে গোলও রয়েছে তাঁর। দুটি গোল করার পাশাপাশি চারটে অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি। বিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে আক্রমণ শুরু করার ক্ষেত্রে তাঁর উপরেই নির্ভর করতে পারে লাল-হলুদ। তবে অন্যান্য দল যখন বিশ্বকাপার, ইউরো খেলা ফুটবলারদের সই করাচ্ছে সেখানে এশিয়ার বিভিন্ন ক্লাবে খেলা বিদেশি কী আদৌ পারবেন ইস্টবেঙ্গলের মান রাখতে। কুয়াদ্রাত নিজে জর্ডন থেকে পছন্দ করে নিয়ে এসেছিলেন হিজাজি মেহেরকে। সুপার কাপ জেতার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান ভুলবেন না ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। সেই কারণেই তাঁর চুক্তি বাড়াতে অনুরোধ করছেন তাঁরা।
রশিদের ক্ষেত্রেও তেমনটা হয় কিনা সেটাই দেখার। যদিও ক্লাব বা রশিদ কারোর পক্ষ থেকেই এখনও প্রস্তাবের কথা স্বীকার করা হয়নি।