মহমেডানের (Mohammedan Sporting) বিরুদ্ধে সাত গোলে জয় পেল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emmai East Bengal)। কলকাতা লিগে ২ গোলে হারতে হয়েছিল লাল-হলুদের ছেলেদের। আর এবার কন্যাশ্রী কাপে সেই হারের বদলা নিলেন তৃষা মল্লিক, মামনি দাসরা। কন্যাশ্রী কাপে বরাবরই ভাল দল গড়ে ইস্টবেঙ্গল। আর এবারেও দুরন্ত ছন্দে মশাল বাহিনী। ডার্বিতে জয় হতাশ থাকা লাল-হলুদ সমর্থকদের কিছুটা হলেও চাঙ্গা করবে।
এদিন শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলে ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ২০ মিনিট গোলের দেখা না মিললেও চাপ বেশি ছিল ইস্টবেঙ্গলের। ক্রমাগত আক্রমণ হেনে সাদা-কালো ডিফেন্সকে বিব্রত রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। চেনা ছন্দে থাকলেও গোল আসছিল না। এরপরেই মহমেডানের লকগেট পুরোপুরি ভেঙে যায়। সুলঞ্জনা রাউল ও তুলসি হ্রেমব্রম হ্যাটট্রিক করে যান। ২০ মিনিটের পর থেকে প্রথমার্ধ শেষ হওয়া অবধি একের পর এক গোল তুলে নিতে থাকে ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা। মহমেডানের প্রতিরোধ তখন খড়কুটোর মতো উড়ে যায়। ২৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোল তুলে ফেলে ইস্টবেঙ্গল। এবার গোল করেন তুলসি। এবারের কন্যাশ্রী কাপেও দারুণ ছন্দে তিনি।
২৯ মিনিটে ফের গোল সুলঞ্জনার। তাঁর হ্যাটট্রিক হয়ে যায় বিরতির আগেই। ৩৬ মিনিটে নিজের তৃতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করেন সুলঞ্জনা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আবার আক্রমণ। ঠিক বিরতির আগে যে জায়গায় শেষ করেছিল ইস্টবেঙ্গল, বিরতির পর যেন সেখান থেকেই ম্যাচটা ধরে নেন তুলসিরা। এবার পরপর দুই গোল করে হ্যাটট্রিক করে ফেলেন তুলসি। ৪৭ মিনিটে আর ৫৩ মিনিটে গোল করেন তিনি। মহমেডানের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন সার্জিদা। ৭২ মিনিটে ৭ গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।
মহমেডানের ভাগ্য ভাল যে তারা এরপর আর গোল খায়নি। কারণ আরও গোল হলে লজ্জা বাড়ত ময়দানের অন্যতম প্রাচীন এই ক্লাবের।