আগামিকাল ডুরান্ড কাপের অভিযান শুরু করছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ আর্মি। প্রথম ম্যাপচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসে লাল-হলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের মুখে মোহনবাগান বন্দনার কথা। ডার্বির এক সপ্তাহ বাকি নেই তার আগেই যেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সবুজ-মেরুনকে অনেকটাই এগিয়ে রাখলেন লাল-হলুদ কোচ।
কুয়াদ্রাত বলেন, ‘মোহনবাগানের দারুণ মানের পেশাদার ফুটবলারেরা রয়েছে। বিদেশিরাও ভাল। তাছাড়া, দলের অনেকেই একসঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে খেলছে। ফলে ওদের মধ্যে লড়াই করার একটা মানসিকতা তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেখানে আমরা শূন্য থেকে শুরু করছি। দলের বেশির ভাগ ফুটবলারেরা নতুন। শুধু মোহনবাগানই নয়, বেশির ভাগ দলই নিজেদের অনেক আগে থেকে গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে। আমাদের খুব অল্প সময়ে সেই জায়গায় পৌঁছতে হবে। এটা একটা চ্যালেঞ্জ।‘ দীর্ঘদিন ধরে ট্রফি নেই লাল-হলুদে। আইএসএল-এ এখনও পযর্ন্ত মেলে ধরতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।
এর জবাবে লাল-হলুদ কোচ বলেন, ‘প্রতিটি টুর্নামেন্টে আমরা ম্যাচ ধরে এগোতে চাই। আমরা আমাদের সেরাটাই দেব। লড়াই করব। এবার নতুন বেশ কিছু নতুন ফুটবলার দলে যোগ দিয়েছে। আমরা লড়াকু মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামব। প্রত্যে কটা দলই প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামবে। প্রতিটি রাউন্ড ধরে এগোতে চাই। আমি খুব খুশি যাদের এবছর পেয়েছি। আশা রাখি এ বারে ফলাফল ভালই হবে।‘
সামনেই ডার্বি। সমর্থকদের নজর সেদিকে। কোনও বিশেষ পরিকল্পনা ডার্বির ক্ষেত্রে? এই নিয়ে কুয়াদ্রাত বলেন, ‘আমি সমর্থকদের সম্মান করি। আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করব। আমি দল গঠনে জোর দিচ্ছি। ডার্বির উত্তেজনা আমি বুঝি। আমরা নিজেদের কাজ করে যাব। ফলাফল বদল করার চেষ্টা করব,’
বিএফসি-র দায়িত্বে থাকার সময় সেই দলকে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছিলেন কুয়াদ্রাত। জিতিয়েছিলেন আইএসএলও। তবে ইস্টবেঙ্গলের কোচিং করা তাঁর জীবনের কঠিনতম কাজ বলে মেনে নিচ্ছেন তিনি। এই নিয়ে কুয়াদ্রাত বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বেঙ্গালুরুতে আমাদের নির্দিষ্ট একটা প্রোজেক্ট ছিল। ধীরে ধীরে আমরা একটা চ্যাম্পিয়ন দল তৈরি করি। কিন্তু সেটা করতে ৪-৫ বছর লেগেছিল। একটা সময় আমাদের দলে সুনীল ছেত্রী, সন্দেশ ঝিঙ্গান, উদান্তা সিংরা ছিল। প্রত্যেকে দারুণ ফুটবলার। তাসত্ত্বেও আমরা আই লিগে চার নম্বরে শেষ করেছিলাম। তাই একটা সফল দল তৈরি করতে গেলে সময় লাগবেই।‘