কলকাতা লিগে (CFL 2024) ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal)। তবে শক্তিশালী রেলওয়ে এফসি-র বিরুদ্ধে খেলার আগে কিছুটা সমস্যায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। নসীব রহমান, মহম্মদ রোশাল, হীরা মণ্ডলরা ফিজিও অধীনে রিহ্যাবে। চোটের জন্য শেষ ম্যাচে ছিলেন না নসীব-রোশাল। আবার শেষ ম্যাচে চোট পাওয়া সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় আপাতত বিশ্রামে। পিভি বিষ্ণুও ছিলেন না এদিনের অনুশীলনে।
রেলওয়ে এফসি-র বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে শীর্ষে ওঠার লড়াইয়ের আগে চোটই যে লাল-হলুদ শিবিরে এক নম্বর সমস্যা, বলাই বাহুল্য। শেষ ম্যাচে ঘরের মাঠে সায়নদের উপস্থিতিতে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। তাঁদের দুরন্ত ফুটবলে পুলিশ এসি-কে হাফডজন গোল দিয়েছে দল।
তার আগে ডার্বি বা ঘরের মাঠে জর্জ টেলিগ্রাফ ম্যাচে দলের জয়ে ভূমিকা ছিল নসীবের। বুধবার রেলওয়ে এফসি-র বিরুদ্ধে এই ফুটবলারদের অনুপস্থিতি নিশ্চিতভাবে চাপ বাড়াবে লাল-হলুদের রিজার্ভ দলের কোচ বিনো জর্জের। কারণ শুরুটা ভালো না করলেও ক্রমে ছন্দে ছুটছে রেল। শেষ দু'ম্যাচে জর্জ ও টালিগঞ্জ অগ্রগামীকে হেলায় উড়িয়ে দিয়েছেন নীলাঞ্জন গুহর ছাত্ররা। এমন দলের বিরুদ্ধে মাঝমাঠের পাশাপাশি ডিফেন্স নিয়েও ভাবতে হচ্ছে বিনোকে। চোট প্রসঙ্গে অবশ্য তিনি জোরের সঙ্গে বলছেন, "দলে যা সমস্যা ছিল, আমি মিটিয়ে নিয়েছি।"
বুধবারের ম্যাচে শুরু করতে পারেন আদিত্য পাত্র, জোসেফ জাস্টিন, সার্থক গোলুই, আদিল অমল, সঞ্জীব ঘোষ, তন্ময় দাস, শ্যামল বেসরা, মহম্মদ মোশারফ, অনন্তু এনএস, আমন সিকে এবং জেসিন টিকে।
বুধবারের ম্যাচের পরই নেক্সট জেন কাপ খেলতে লন্ডন যাবে ইস্টবেঙ্গল। সেই দলের অনেকেই রয়েছেন লিগের স্কোয়াডে। ফলে বিলেত যাত্রার আগে শেষ ম্যাচটা জিতে ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস ঠিক রাখাই লক্ষ্য বিনোর।
পাশাপাশি মঙ্গলবার জিতে ভাবনীপুর গ্রুপ শীর্ষে উঠে এসেছে লাল-হলুদকে সরিয়ে। রেলকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারলে ফের শীর্ষস্থান ফেরত পাবে তারা। এই পরিস্থিতিতে ফরোয়ার্ডদের ফর্ম ভরসা দেবে কোচ বিনোকে। জেসিন, আমন, শ্যামলরা নিয়মিত গোল করছেন। পাশাপাশি সুব্রত মুর্মু, বিজয় মুর্মুর মতো ময়দানের চেনা স্ট্রাইকার আছে বিনোর তুণে। রেলের বিরুদ্ধে পুরো পয়েন্ট পাওয়ার লড়াইয়ে সেটাই শক্তি ইস্টবেঙ্গলের।
অন্যদিকে, একঝাঁক নতুন ছেলেকে নিয়ে লিগে ভালো ফল করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী রেল কোচ নীলাঞ্জন। শেষ ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা অক্ষত শ বুধবার বড় ভরসা রেলওয়ে এফসি-র।