দলের লাগাতার খারাপ পারফরম্যান্স নিয়ে ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) কর্তারা চেষ্টা করলেও ভালো দল গড়া সম্ভব হচ্ছে না। মোহনবাগানের (Mohun Bagan) প্রসঙ্গ তুলে বিনিয়গাকারী ইমামি কর্তাদের (Emami Group) বার্তা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস(Aroop Biswas)।
রবিবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে মেম্বার লাউঞ্জ (East Bengal Member Lounge) উদ্বোধন করতে এসে এই ব্যাপারে মুখ খোলেন অরূপ। তিনি বলেন, ‘আমরা ছোট থেকে যে ইস্টবেঙ্গলকে দেখে এসেছি, যে মশালটা নিয়ে দৌড়তাম, সেটা আস্তে আস্তে আমাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ক্লাব কর্মকর্তারা নিশ্চয়ই চেষ্টা করছেন, সমস্যাটা হচ্ছে স্পনসরদের তরফ থেকে। অসম লড়াই হচ্ছে।“ এরপর অরুপ বিশ্বাস উদাহরণ হিসেবে মোহনবাগান ক্লাবের প্রসঙ্গ টানেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল দুই ক্লাবের মধ্যে লড়াই হয় তবে এই দুই ক্লাবের স্পনসরদের মধ্যে ভালো টিম গড়া নিয়ে লড়াই হবে না কেন?’
এই মরশুম শেষ হওয়ার আগেই, ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তারা বাজেট বাড়ানোর দাবি করেছিলেন। ২০ কোটি টাকার সঙ্গে ৬০ কোটি টাকার বাজেটের পার্থক্যের কথা তুলে ধরেছিলেন ইমামি কর্তাদের সামনে। তাতেও বাজেট বাড়েনি। ক্লাব কর্তারা নিরুপায়। এই মরশুমেও ২২ থেকে ৩০ কোটির বেশি বাজেটের টিম গড়বে না ইমামি। এমনটাই খবর সূত্রের।
এ নিয়ে ক্ষোভ শোনা গিয়েছে ক্লাব কর্তাদের মধ্যেও। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে বাংলা ফুটবলের নিয়মক সংস্থা আইএফএ-এর (IFA) এক অনুষ্ঠানে এসে ইস্টবেঙ্গলের দলগঠন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন লাল-হলুদ শীর্ষকর্তা। প্রতিপক্ষ ক্লাবের সহ সচিব কুনাল ঘোষকে পাশে রেখেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন দেবব্রত। তিনি বলেন, ‘দলটা কোচ এবং কোম্পানির লোকেরা করছে। কথাবার্তা চলছে, যেখানে যেখানে দরকার পড়ছে আমাদের সাথে কথা বলছে। দিনের শেষে তো পয়সাটাই সব। যেইরকম পয়সা দেবে সেইরকমই টিম হবে।‘ অর্থাৎ বাজেট সমস্যায় দল গঠনের কাজে যে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেটা কার্যত মেনেই নিলেন দেবব্রত। জানিয়ে দিলেন, ইমামিই সবটা দেখছে। তাঁদের হাতে আর কিছু নেই।
ইমামি যে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কথা শুনে দল গড়ছে না সেটা বোঝা গিয়েছিল, পয়লা বৈশাখে বার পুজোর সময়ই। লাল-হলুদের কোচ নিয়ে শুরু হয়েছিল বিভ্রান্তি। ক্লাব কর্তারা মনে করেছিলেন, তাঁদের পছন্দের সের্জিও লোবেরার সঙ্গে চুক্তি করছে ইমামি। তবে লোবেরা ডিল ফাইনাল হওয়ার আগেই বাতিল হয়। কার্লস কুয়াদ্রাটকে কোচ করা হয়। যদিও এই ব্যাপারে অন্ধকারেই ছিলেন ক্লাব কর্তারা। তবে এদিন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী ক্লাব কররেেদাত পাশেই দাড়ালেন।