আইপিএল-এর (IPL) মতো নিলাম হোক আইএসএল-এও (ISL)। এমনটাই দাবি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। তিন বছর ধরে আইএসএল খেললেও ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal) ভালো ফুটবলার সই করাতে পারছে না। এর জেরেই আইএসএল-এর আয়োজক সংস্থা এফএসডিএল-কে (FSDL) চিঠিও দিতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। তাদের দাবি, ড্রাফটিং চালু করতে হবে। তবে তা এই অবস্থায় সত্যি সম্ভব কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
এফএসডিএল-কে চিঠি পাঠাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের আবেদন, নতুন করে প্লেয়ারস ড্রাফট আয়োজন করা হোক। তা হলে খোলা বাজার থেকে নিজেদের পছন্দমতো ফুটবলার নিতে পারবে ইস্টবেঙ্গল। ঠিক যেমনটা আইপিএলের নিলামের (IPL Auction) সময় হয়ে থাকে। তবে এফএসডিএল এই প্রস্তাবে সাড়া দেবে কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার বাইপাসের ধারে ইমামি হাউসে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ইমামি কর্তারা। বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তা আদিত্য আগরওয়াল, ‘ভালো দল গড়ার জন্য টাকা অবশ্যই দরকার। তবে তা কখনওই সাফল্যের মানদণ্ড হতে পারে না। তাহলে তো মোহনবাগান (Mohun Bagan) প্রতি বছরই চ্যাম্পিয়ন হতো। গত বছর আমরা সেভাবে টিম গড়ার সুযোগ পাইনি। আগামী মরশুমে সেই খামতি মেটানোর চেষ্টা করব।’
একই সুর শোনা যায় ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের গলাতেও। তিনি বলেন, ‘ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য শুধু ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নাম খারাপ হচ্ছে এমনটা নয়, পাশপাশি নাম খারাপ হচ্ছে ইমামিরও। ভালো মানের প্লেয়ার নিয়ে আগামী মরশুমে শক্তিশালী দল ঘোষণা করাই প্রধান লক্ষ্য। সমর্থকদের অন্তহীন আবেগের মূল্য দিতে হবে।’
ড্রাফটের দাবি কতটা যুক্তিসঙ্গত?
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দল তাঁদের দলের ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি করে রেখেছে। টাকাও পেয়ে গিয়েছেন ফুটবলাররা। ফলে নতুন করে ফুটবলারদের নিলাম করতে গেলে বেশ সমস্যায় পড়তে হবে এফএসডিএল-কে। সমস্ত দলই নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে তাদের দল সাজিয়েছে। তবে ইস্টবেঙ্গল গত বছরেই ইমামির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ফলে দল গোছানোর সময়ই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে। লাল-হলুদ কর্তাদের দাবি, যে মরশুমে বেঙ্গালুরু এফসি ও হায়দরাবাদ এফসি প্রথমবার আইএসএল-এ যোগ দেয়, সেই বছরেই ড্রাফট হয়েছিল। তবে ইস্টবেঙ্গল এখনও সেই সুযোগ পায়নি। সেই জন্যই ড্রাফট চালু করার আবেদন জানিয়ে চিঠি দিচ্ছে লাল-হলুদ।