জাও ফেলিক্সের টাইব্রেকার মিস। ইউরো থেকে ছিটকে গেল পর্তুগাল। গুরু শিষ্যের লড়াইয়ে টেক্কা দিলেন শিষ্য এমবাপে। বিদায় নিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগাল। ঘুমপাড়ানি ফুটবলে শেষ অবধি ফ্যানদের চোখ ছিল সিআর সেভেন এমবাপের দিকেই। দুই জনই হতাশ করেছেন সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। শেষে ভেঙে যাওয়া নাকে ফের চোট পেয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছেন। সেমি ফাইনালে তাদের সামনে স্পেন। এরপর আর ইউরো খেলতে দেখা যাবে না রোনাল্ডোকে। অবসর নিয়ে নিতে পারেন পেপেও।
১২০ মিনিটের লড়াইয়ে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। সুযোগ পেয়েছে দুই দলই। কিন্তু গোলের মধ্যে রাখার ক্ষেত্রে দক্ষতা দেখাতে পারেননি। টাইব্রেকারে ৫-২ ব্যবধানে জয় পায় ফ্রান্স। আগের ম্যাচে তিনটি পেনাল্টি বাঁচিয়ে নায়ক হয়েছিলেন দিয়োগো কোস্তা। এ দিন পাঁচটি শটের একটিও বাঁচাতে পারলেন না তিনি। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলে ফ্রান্স। নিজেদের গোল রক্ষা করতে দিশেহারা দেখাচ্ছিল পেপেদের। তবে ধীরে ধীরে আক্রমণে ফেরে পর্তুগাল। রাফায়েল লিয়াওর গতি সমস্যা তৈরি করে ফ্রান্সের জন্য। চুয়ামেনি এবং এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাকে একসঙ্গে নামিয়ে ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশঁ দারুণ কাজ করেন। লিয়াও বল পেলেও তাঁর ক্রস ঠিক জায়গায় রাখতে পারছিলেন না।
অন্যদিকে ফ্রান্স ভাল আক্রমণ তুলে আনলেও, শেষদিকে এসে তা দানা বাঁধছিল না। সেই কারণেই গোল পায়নি ফ্রান্স। প্রথমার্ধের শেষের দিকে বক্সের একটু বাইরে ফ্রিকিক পেয়েছিল পর্তুগাল। রোনাল্ডো তৈরি হয়ে দাঁড়ালেও ফ্রিকিক নেন ব্রুনো ফের্নান্দেস। বারের উপর দিয়ে বল বেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আচমকা চোট পান এমবাপে। পর্তুগালের এক ফুটবলারের হেড লাগে তাঁর মাথার পাশে। ফেস গার্ড খুলে ফেলে বার বার নাকে হাত বোলাতে থাকেন। আশঙ্কায় ভুগতে থাকেন তাঁর ফ্যানরা। ফের ভাঙা নাকে চোট লাগ্ল তাঁর? তবে সেই আশঙ্কা সরিয়ে কিছু ক্ষণের মধ্যেই আবার ফেস গার্ড পরে মাঠে নামতে দেখা যায়। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার আগে অনেকেই চমকে যান। এমবাপেকে তুলে নেন দেশঁ। রিজ়ার্ভ বেঞ্চে বসে নাকে বরফ লাগাচ্ছিলেন এমবাপে।