কাশ্মীর সহ একাধিক ইস্যুতে মন্তব্য় করে আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি। এবার সরাসরি আক্রমণ করলেন বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারকে। আবার সেই আফ্রিদির মুখেই শোনা গেল বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর প্রশংসা।
এশিয়া কাপে গত রবিবার দুবাইয়ের মাঠে পাকিস্তান টিমকে ল্যাজে গোবরে করে দেয় সূর্যকুমার যাদবের বাহিনী। টস বা খেলার শেষে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাতও মেলায়নি ভারতীয় কোনও খেলোয়াড়। যা নিয়ে বিতর্ক মাথা চাড়া দেয়। পাকিস্তানের একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার ভারতের মনোভাবের সমালোচনা করেন। অথচ আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্টে সাফ বলা আছে, দুই দেশের খেলোয়াড়দের করমর্দন করতেই হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।
তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ও সেই দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের তাতেও ঝাল মেটেনি। তাঁরা আক্রমণ করতে শুরু করেন। ঠিক সেরকমই এক টিভির প্যানেলে বসে ভারতের রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন আফ্রিদি। তাঁর মতে, ভারতের এই অবস্থার জন্য দায়ি বিজেপি সরকার। তারাই নাকি ধর্মীয় রাজনীতিকে হাতিয়ার বানিয়ে ক্ষমতায় রয়েছে। রাহুল গান্ধী অনেক যোগ্য নেতা।
বিজেপির নিন্দা, রাহুলের প্রশংসা
আফ্রিদি বলেন, 'ভারতে এখন যে সরকার রয়েছে তারা ধর্মীয় তাস খেলে। এটা আমি আগেও বলেছি। এখনও বলছি। মুসলিম হিন্দু চলে সেদেশে। এভাবেই ওরা ক্ষমতায় আসে। আমি এই মনোভাবকে সমর্থন করি না। যতদিন এই সরকার থাকবে ততদিন ভারতে এসব চলবে।'
এরপরই রাহুল গান্ধীর প্রশংসা করেন আফ্রিদি। বলেন, 'আমি জানি রাহুল গান্ধী পজেটিভ মানুষ। উনি সবসময় আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। রাহুল সবার সঙ্গে পৃথক পৃথক কথা বলতে জানেন ও চান।'
'সামা টিভি'কে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে আফ্রিদি আরও বলেন, 'ইজরায়েল যেভাবে গাজার সঙ্গে আচরণ করছে ভারতও পাকিস্তানের সঙ্গে তা করতে চায়। একটা ইজরায়েল কি যথেষ্ট নয়? ভারত ইজরায়েল হওয়ার চেষ্টা করছে।'
যদিও আফ্রিদির এই মন্তব্য ঘিরে সমালোচনার ঝড় শুরু বইতে শুরু করেছে। যে দেশ ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়েছে, যাদের দেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার নেই তারা কীভাবে ভারতকে নিয়ে এই কথা বলে? প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা এও জানাচ্ছেন, ভারতে যত সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই করেছে পাকিস্তানে লালিত ও পালিত সন্ত্রাসবাদীরা। তা নিয়ে বারবার অভিযোগ করা হলেও পাকিস্তান সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। পহেলগাঁও হামলার পরও ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আলোচনা ও রক্তপাত একসঙ্গে চলতে পারে না। কিন্তু পাকিস্তান সরকার তারপরও জঙ্গিদের মদত দিয়ে চলেছে।