১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এআইএফএফ-এর নির্বাচন করতে হবে। শুধু তাই নয়, গড়তে হবে নতুন কমিটিও। আর তা না হলে ফিফার নির্বাসনের মুখে পড়বে চলেছে ভারতীয় ফুটবল। ফিফা এবং এএফসি-র প্রতনিধিরা কিছুদিন আগেই ভারতে এসেছিলেন। তাঁরা এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন ভারতীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থাকে। সুপ্রীম কোর্ট নিযুক্ত তিন সদস্যের সিওএ বর্তমানে এআইএফএফ-এর সমস্ত কাজ পরিচালনা করছে। এই খবর সামনে আসার পরেই নড়েচড়ে বসে ফিফা এবং এএফসি। ফুটবলের ক্ষেত্রে কোনও রকম প্রশসনিক হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করে না ফিফা।
একই কারণে প্রায় দুই বছর ব্যান ছিল পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন। এই ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছিল একই চিত্র। কোর্ট নিযুক্ত কমিটি পাকিস্তান ফুটবল দেখভাল করছিল। কিছুদিন আগে নির্বাচন করে নতুন কমিটি গঠন করে তারা। ফলে নির্বাসন উঠে যায়। তবে কি এবার ভারতেও দেখা যাবে একই চিত্র? আশঙ্কায় ভারতের ফুটবলপ্রেমীরা।
দীর্ঘদিন ধরেই নির্বাচন হচ্ছে না সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে। আর সেই কারণেই হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেলকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। গোটা কমিটি ভেঙে প্রাক্তন বিচারপতি এআর ডেভের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এই কমিটিতে রয়েছেন প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি ও প্রাক্তন ফুটবলার ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়। এই কমিটি সেপ্টেমবরের মধ্যে নির্বাচন করে নতুন কমিটি তৈরির ব্যাপারে আশাবাদী।
২০১৭ সালেই এআইএফএফ-এর নতুন সংবিধান তৈরি করার দায়িত্ব কুরেশি ও ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়কে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাঁরা সেই ড্রাফট সর্বোচ্চ আদালতের কাছে জমাও দেন। কিন্তু নতুন সংবিধান এআইএফএফ-এ লাগু হয়নি। জানা যাচ্ছে, ৩০ জুলাইয়ের পর ফেডারেশনের নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে কবে নির্বাচন হবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে এটা স্পষ্ট যে দ্রুত নির্বাচন সম্পন্ন করে নতুন কমিটি গড়ে ফেলতে হবে ভারতের ফুটবলা ফেডারেশনকে। কারণ অক্টোবরেই ভারতে অনুরদ্ধ-১৭ মহিলা বিশ্বকাপ হওয়ার কথা।