বিশ্বকাপের (FIFA World Cup 2022) সেমি ফাইনালে একাধিক রেকর্ড গড়ে ফেললেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। ক্রোয়েশিয়ার (Argentina vs Croatia) বিরুদ্ধে গোল করে বাতিস্তুতাকে পেছনে ফেললেন মেসি। বিশ্বকাপের মঞ্চে ১১টি গোল হয়ে গেল তাঁর। কাতার বিশ্বকাপে লিওনেল মেসি দারুণ ছন্দে রয়েছেন। পাঁচ ম্যাচে চারটি গোল হয়ে গিয়েছে তাঁর। সৌদি আরব, মেক্সিকো, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস ও ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গোল করেছেন মেসি। ২০০৬, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপে গোল করেছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।
ফুটবল বিশ্বকাপের সব খবরের জন্য় এখানে ক্লিক করুন
ক্লোজেকে ছুঁয়ে ফেললেন মেসি
বিশ্বকাপের মঞ্চে ম্যাচ খেলার নিরিখে দুই নম্বরে ছিলেন জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোজে। তবে এবার তাঁকে টপকে গেলেন মেসি। সেমি ফাইনালে খেলতে নামার পরেই, বিশ্বকাপের মঞ্চে ২৫তম ম্যাচ খেলা হয়ে গেল তাঁর। ক্লোজে ২৪টি ম্যাচ খেলে অবসর নিয়েছেন। তবে এক নম্বরে থাকা আরও এক জার্মানকেও টপকে যাওয়ার সুযোগ থাকছে মেসির সামনে। তিনি হলেন লোথার ম্যাথিউস। ২৫টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এখন তাঁর সঙ্গে এক আসনে মেসি। ফাইনালে নামলে তাঁকেও টপকে যাবেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
আরও পড়ুন: কেন ফুটবল-বিশ্বে G.O.A.T CR7? একনজরে সব তথ্য
বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ড
ক্লোজের আরও একটি রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন মেসি। বিশ্বকাপে ১৭টি ম্যাচ জিতেছেন জার্মান কিংবদন্তি। অন্যদিকে মেসি জিতেছেন ১৬টি ম্যাচ। বিশ্বকাপে জিততে পারলে সেই রেকর্ডও ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি। পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলেছেন মেসি। এর মধ্যে তিনি এবং রাফা মার্কেজ অধিনায়ক হিসেবে খেলেছেন ১৮টি ম্যাচ। এই ম্যাচে তাই রাফাকে ছাপিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছে তাঁর সামনে।
কীভাবে হল তিন গোল?
দারুণ একটা শুরু করে আর্জেন্টিনা। ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। মেসি উপরের ডান কোণে তাঁর পেনাল্টি কিক মারেন। বাকি দুই গোল হুলিয়ান আলভারেজের। মেসির গোলের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ব্যবধান বাড়িয়ে ফেলেন তিনি। তবে দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে অনেকটাই দায়ি ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্স। একাই প্রায় মাঝমাঠের কাছ থেকে বল ধরে এগিয়ে যেতে থাকেন আলভারেজ। তাঁকে কেউই আটকাতে পারেননি। ভুল করে ফেলেন লিভাকোভিচও। এই গোলের ক্ষেত্রেও কৃতিত্ব সেই মেসির।
আরও পড়ুন: বিপক্ষের বল এখনও মরক্কোর জালে ঢোকেনি, ফ্রান্স পারবে চক্রব্যুহ ভেদ করতে?
তৃতীয় গোল সতীর্থ আলভারেজের সামনে সাজিয়ে দেন মেসি। সেখান থেকে গোল করে যান তিনি। ৬৮ মিনিটে দুজন ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্ডারকে ঘাড়ে নিয়ে মেসি যে বল আলভারেজের জন্য সাজিয়ে ছিলেন তা থেকে গোল করা ছাড়া অন্য পথ ছিল না।