জার্সি ছাড়া চেনা যাচ্ছিল না ডেম্বেলে-জিরুদের। ৯০ মিনিট রাজত্ব করেও হেরে যেতে হল মরক্কোকে। ৫ মিনিটেই প্রথম গোল খেয়ে যায় মরক্কো। তবে তারপর একের পর এক আক্রমণ তুলে আনতে থাকে মরক্কো। তবে গোল আসেনি। শেষ মুহূর্তে আমরাবাতদের আশাভঙ্গ করে দিলেন নতুন নামা মুয়ানি। প্রথম টাচেই গোল করে গেলেন তিনি।
ফুটবল বিশ্বকাপের সব খবরের জন্য় এখানে ক্লিক করুন
দুটো সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফের বিশ্বকাপ ফাইনালে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। গ্রিজম্যানের বাড়ানো বল ধরে চকিতে কিলিয়ান এমবাপের শট মরক্কো ডিফেন্ডাররা প্রতিহত করেন। ফিরতি বল অতর্কিতে উঠে আসা হার্নান্দেজের পায়ে পড়লে তিনি তা জালে জড়িয়ে দিতে ভুল করেননি। তাঁর করা গোলেই ফ্রান্স এগিয়ে গিয়েছিল। ফ্রান্সের ডাগ আউটে স্বস্তি এল ৭৮ মিনিটে। কিলিয়ান এমবাপের দুরন্ত স্কিলে ফাটল ধরল মরক্কো রক্ষনে। সুপার সাব কলোমৌনিকে দিয়ে গোল করালেন এমবাপে। প্রমাণ করলেন কেন তিনি বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের সঙ্গে এক বন্ধনীতে। ২-০গোলে জিতে টানা দুবার ফ্রান্স বিশ্বকাপ ফাইনালে। রবিবার কাপ রক্ষার লড়াইয়ে তাদের সামনে লিয়োনেল মেসির আর্জেন্টিনা।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলে একাধিক রেকর্ড ভাঙলেন মেসি
ফরাসি উপনিবেশ ছিল মরক্কোয়। দুই দেশই একই ভাষায় কথা বলে। বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে দুই দলের দ্বৈরথে পরাজিত হলেও হৃদয় জিতল অ্যাটলাস সিংহরা। প্রতিপক্ষ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন,সেখানে একাধিক বিখ্যাত নামের ভিড়। তা সত্ত্বেও প্রথমবার সেমিফাইনাল খেলার চাপ সরিয়ে মরক্কোয় খেলায় সিংহের দাপট স্কিলের লালিমা একসঙ্গে।
হাকিমি,আমরবাত,জিয়েস,ওয়াই এন নাসিরিরা পুরো নব্বই মিনিট বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কার্যত ব্যাকফুটে রেখে দিয়েছিল। স্কোরবোর্ডে চোখ না পড়লে বিশ্বাস করা শক্ত ছিল ফ্রান্স এক গোলে এগিয়ে রয়েছে। এমবাপে,জিরু, গ্রিজম্যান,থুরাম, চৌমেনিদের প্রেসিং ফুটবলের যাতাকলে পিষল মরক্কোন ফুটবলাররা। ডিফেন্ডারদের কড়া ট্যাকেলের সামনে ফরাসিরা কার্যত দাঁত নখ বের করতে পারেনি। একই সঙ্গে আক্রমনভাগের মুুহুর্মুহু আক্রমনে ফ্রান্সের ডিফেন্ডারদের নকল বুদিগড় রক্ষার মত অবস্থা হয়েছিল। এই সময় ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিসের দুটো হাত বিশ্বস্ততা দিতে না পারলে ফ্রান্স প্রথমে গোল করার সুবিধা হারিয়ে ফেলত। অন্তত গোটা তিনেক নিশ্চিত গোল বাঁচালেন অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায়। তবুও মরক্কো পরাজিত। কারন ফুটবলে গোলই শেষ কথা। সেখানেই টেক্কা বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।