গ্রুপ ই-র শেষ ম্যাচে ফের ভার নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গেল। জাপান (Japan vs Spain) স্পেনের বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে জিতলেও বিতর্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাদের। আও তানাকার করা গোলে এগিয়ে যায় জাপান। আর সেই গোল নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ভিডিওতে দেখা যায়, জাপানের গোলের সময় বল গোল লাইনের বাইরে চলে গিয়েছে বলে মত অনেকের। যদিও ভার দেখে রেফারি গোলের সিদ্ধান্ত জানান।
বিশ্বকাপের সব খবরের জন্য এখানে ক্লিক করুন
ম্যাচের ১১ মিনিটে আলভারো মোরাতা স্পেনকে এগিয়ে দেন। তখন দেখে মনে হচ্ছিল প্রাক্তন চ্যাম্পিয়নরা ব্লু সামুরাইদের সহজেই হারিয়ে দেবে। তবে ৪৮ মিনিটে সমতা ফেরান রিতসু ডোয়ান। ৫ মিনিট পরে, জয়সূচক গোলও এসে যায়। যদিও এই গোল নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক।
রিপ্লেগুলি দেখে বোঝা যায়, তানাকা বলটিকে গোল লাইন থেকে টেনে ফিরিয়ে আনতে যক্ষম হন, দীর্ঘ সময় ভিএআর চেক অনুসরণ করে গোল দেন রেফারি। কারণ ভিএআর বলে যে জাপান তারকা খেলায় ফিরিয়ে আনার আগে বলটি পুরোপুরি বেরিয়ে যায়নি। সমর্থকদের একটি অংশ বিশ্বাস করতে পারেনি।
জাপান লিড ধরে রাখে এবং ইতিহাস গড়ে। ধরে রাখে কারণ তারা গ্রুপ ই-তে শীর্ষে ছিল এবং রাউন্ড অফ ১৬-এর জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছিল। এই ম্যাচে হেরে গেলে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হত তাদের।
রাউন্ড অফ ১৬--এ জাপান, ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে এবং স্পেনের মুখোমুখি হবে মরক্কো। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি কোস্টারিকার বিপক্ষে ৪-২ ব্যবধানে জিতেও বিদায় নিতে হল তাদের।
জার্মানিকে এগিয়ে দেন ন্যাব্রি
১০ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করে জার্মানিকে এগিয়ে দেন ন্যাব্রি। ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া ছিল তারা। তবে কোস্টারিকার নাছোড় রক্ষণের জন্য ব্যবধান বাড়েনি। ১০ জলে মিলে টানা ডিফেন্স করতে থাকে তারা। ফলে আধিপত্য থাকলেও ব্যবধান বাড়েনি জার্মানির পক্ষে। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে যায় কোস্টারিকা
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই আক্রমণের ঝড় তোলে কোস্টারিকা। ৫৮ মিনিটে সমতা ফেরায় তারা। ৭০ মিনিটে নয়ারের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় তারা। সেই সময় মনে করা হচ্ছিল, কোস্টারিকাও পরের রাউন্ডে জেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ছিটকে যেত স্পেন। তবে গোল খাওয়ার মাত্র ৩ মিনিটের মাথায় গোল শোধ করেন পরিবর্ত হিসেবে নামা কাই হাভেরটজ। ৮৫ মিনিটে ফের গোল করেন তিনি। ৮৯ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান নিকোলাস ফুলক্রুগ।
কিন্তু জিতেও শেষরক্ষা হল না তাদের। স্পেন ও জার্মানি দু’দলেরই পয়েন্ট তিন ম্যাচ খেলে ৪। কিন্তু গোল পার্থক্যে পরের রাউন্ডে গেল স্পেন। অন্য দিকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল চার বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি।