বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বিরাট কোহলির (Virat Kohli)। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) সময় তৎকালীন কোচ অনিল কুম্বলের (Anil Kumble) সঙ্গে বিরাটের সমস্যার কথা সামনে আসে। প্রাক্তন সিএজি বিনোদ রাই তাঁর লেখা বইতে এই সমস্যা নিয়ে লিখেছেন। সেই সময় ভারতীয় ক্রিকেট সামলানোর দায়িত্ব পান বিনোদ রাই। তাঁর লেখা বই 'নট জাস্ট আ নাইটওয়াচম্যান-মাই ইনিংস ইন দ্য বিসিসিআই'-এ অনিল কুম্বলে ও তৎকালীন ভারতের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির মতের অমিলের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি মনে করেন, এই সমস্যা আরও ভাল ভাবে সামলে নেওয়া যেত।
অনিল কুম্বলে শৃঙ্খলাবদ্ধ ছিলেন
এই বইয়ে বিনোদ রাই জানিয়েছেন, 'সেই সময়ে অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং কোচ অনিল কুম্বলের সম্পর্ককে কোনওভাবেই ভাল বলে মনে করা যায় না। এই সমস্ত বিতর্কের মধ্যে, কুম্বলে দলের অধিনায়ক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়েও খোলামেলা কথা বলেছেন। তিনি বলেছিলেন যে তাঁকে জানানো হয়েছিল যে কোচ অনিল কুম্বলে খুবই শৃঙ্খলাবদ্ধ, যার কারণে দলের খেলোয়াড়রা খুশি ছিলেন না।'
'তরুণ সদস্যরা ভয় পেয়েছিলেন'
তিনি লিখেছেন, 'অধিনায়ক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আমার কথোপকথনে আমাকে বলা হয়েছিল যে কুম্বলে খুব শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং সেই কারণে দলের সদস্যরা প্রাক্তন লেগ স্পিনারকে নিয়ে খুব একটা খুশি ছিলেন না। আমি এই ইস্যুতে বিরাট কোহলির সঙ্গে কথা বলেছি এবং তিনি এই বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন যে দলের তরুণ সদস্যরা কুম্বলেকে ভয় পায়। আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে কুম্বলে বলেছিলেন যে তিনি দলের উন্নতির জন্য নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।'
কুম্বলেও নিজের পক্ষ নিয়েছিলেন
তিনি আরও বলেছিলেন, 'কোচ হিসাবে অনিল কুম্বলের মেয়াদ অত্যন্ত সফল ছিল। কুম্বলে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ও এটি জোর দিয়েছিলেন। তিনি তাঁর বইয়ে লিখেছেন, 'কুম্বলে ইংল্যান্ড থেকে ফেরার পর তাঁর সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ আলাপ হয়েছিল। কুম্বলে এই ঘটনায় স্পষ্টতই বিরক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: টানটান ম্যাচে শেষ ওভারে হার হায়দরাবাদের, ১২ রানে জিতল লখনউ
প্রাক্তন সিএজি বিনোদ রাই তাঁর বইয়ে বলেছেন যে অধিনায়ক এবং কোচের মধ্যে বিবাদের সময়, ক্রিকেট প্রশাসনিক কমিটির তিন সদস্য (সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ভিভিএস লক্ষ্মণ এবং সচিন তেন্ডুলকর)ও বিরাট কোহলি এবং অনিল কুম্বলে উভয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০১৭- এর পরে প্যানেল পরবর্তী কোচ বেছে নেওয়ার পরিকল্পনাও করেছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের পর পদত্যাগ করেন কুম্বলে। এরপর রবি শাস্ত্রীকে দলের কোচ করা হয়।