হামতের হ্যাটট্রিক। আর সেই হ্যাটট্রিকে ভর করেই পিছিয়ে থেকেও দারুণভাবে ফিরে এল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ব্যাকারপুর স্টেডিয়ামে টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে শুরুতেই এক গোল খেয়ে গিয়েছিল সবুজ-মেরুনের রিজার্ভ দল।
প্রথম ম্যাচে পাঠচক্রের বিরুদ্ধে জয় পাওয়ার পর, টালিগঞ্জকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিল সবুজ-মেরুন। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তনীর তিন গোলে জয়ের ধারা অব্যহত থাকল বাস্তব রায়ের দলের। বড় দলের মতোই দাপট নিয়ে খেলতে দেখা গেল মোহনবাগান রিজার্ভ দলকে। প্রথমার্ধে দুর্ধর্ষ গোল করে মোহনবাগানকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন নাওরেম। সেই গোলের সুবাদে ১-১ গোলে বিরতিতে যায় মোহনবাগান। তারপর দ্বিতীয়ার্ধে আর টালিগঞ্জকে দাঁড়াতে দেয়নি সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। টালিগঞ্জ অগ্রগামীর হয়ে চার মিনিটে গোল করেন মানস সরকার। মোহনবাগান সুপার জায়েন্টসের হয়ে ২৪ মিনিটে যেভাবে নাওরেম প্রায় চার ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল করেন, তা দেখে আবারও মুগ্ধ সকলে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই দুরন্ত গোলের ভিডিও এখন ভাইরাল। বাঁদিক থেকে বল ধরে, টালিগঞ্জের পেনাল্টি বক্সে ঢুকে আসেন মোহনবাগানের খেলোয়াড়। পেনাল্টি বক্সের মাথার ঠিক কাছে তিনজনকে কাটিয়ে শরীরের দুলকি চালে একেবারে প্রথম পোস্টের কোণে শট। শাহনাওয়াজ নিজের সর্বস্ব দিয়েও বল রুখতে পারেননি। দুর্দান্ত গোল নাওরেমের। একেবারে নিখুঁত ফিনিশিং। টালিগঞ্জ ১-১ মোহনবাগান। ৪৭ মিনিটে হামতে, ৫২ মিনিটে সুহেল, ৭৮ মিনিটে হামতে এবং ৮১ মিনিটে হামতে গোল করেন।
পাসিং ফুটবলের জোরে ধীরে ধীরে খেলার রাশ তুলে নেয় মোহনবাগান। ২৪ মিনিটে নাওরেমের গোলে সমতায় ফেরে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। তার পর থেকেই টালিগঞ্জ ম্যাীচ থেকে ছিটকে গেল। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তাঁরা। বাকি সময় মোহনবাগান খেলে গেল দারুণ ফুটবল। ৪৭ মিনিটে নাওরেমের সেন্টার থেকে হামতের গোল। পাঁচ মিনিট পরে ব্যবধান আরও বাড়ালেন সুহেল ভাট।
মহমেডান স্পোর্টিংও জয় পেয়েছে বড় ব্যবধানে। সাত গোলে জয় পায় মহামেডান। জোড়া হ্যাটট্রিক বেনিস্টোন ব্যারেটো এবং ডেভিড লাহলানসাঙ্গার। প্রতিপক্ষ সিএফসিকে কার্যত দুমড়ে দিল সাদা কালো ব্রিগেড। দীর্ঘদিন পরে নিজেদের মাঠে কলকাতা লিগের ম্যাচ খেলল মহমেডান স্পোর্টিং।