আনোয়ার আলিকে (Anwar Ali) নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত না হলেও ফের মাঠের বাইরের ট্রান্সফার মার্কেটের লড়াই জমিয়ে দিল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant)। এবার লড়াই আরও এক ডিফেন্ডারকে নিয়ে। হায়দরাবাদ এফসি-তে (Hyderabad FC) গত মরসুমে খেলা অ্যালেক্স সাজিকে (Alex Saji) দলে নিতে চায় মোহনবাগান। এমনটাই শোনা যাচ্ছে। তবে এই ডিল হবে কিনা তা অনেকটাই নাকি নির্ভর করছে আনোয়ার আলির ব্যাপারে পিএসসি-র সিদ্ধান্তের উপর। যদিও সূত্রের খবর, সাজিকে সই করানোর কোনও পরিকল্পনা নেই মোহনবাগানের।
ইস্টবেঙ্গলে সদ্য সই করা এই ডিফেন্ডার যদি ব্যান হন তা হলে অ্যালেক্স সাজির জন্য ঝাঁপাবে লাল-হলুদ। এমনটাই মনে করা হয়েছিল। তবে ইস্টবেঙ্গল সাজির সঙ্গে কথাই বলেনি বলে দাবি কর্তাদের। অন্যদিকে মোহনবাগান ডুরান্ড কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেলেও, ডিফেন্সের খারাপ অবস্থা চিন্তায় রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। সেই কারণেই আনোয়ারকে না পাওয়ায় সাজিকে নিতে ঝাঁপাতে পারে তারা। এমনটাই শোনা যাচ্ছিল। আসলে সাজি একাধারে যেমন স্টপারে খেলতে পারেন, তেমনই রাইটব্যাক পজিশনেও বেশ ভাল খেলেন। তবে আনোয়ার ইস্যু না মেটা অবধি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইছে না কোনও ক্লাব।
অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, ইস্টবেঙ্গলের নজরে রয়েছেন সাজি। বারবার তাঁর নাম উঠে এলেও এখনও সই হয়নি। ডিফেন্স খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা এই ফুটবলারকে সই করানোর ক্ষেত্রে সতর্কতা নিতে চাইছেন মোহনবাগান কর্তারা। আনোয়ারের ক্ষেত্রে যা ঘটেছে তারপর আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্ট।
ডুরান্ড কাপে দারুণ ছন্দে মোহনবাগান। সেমিফাইনালে বেঙ্গালুরি এফসিকে হারিয়ে ফাইনালে চলে গিয়েছে সবুজ-মেরুন। একটা সময় ২ গোলে পিছিয়ে থাকলেও, দারুণভাবে লড়াইয়ে ফিরে আসে মোহনবাগান। ম্যাচ শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে সমতা ফেরায় তারা। ৯০ মিনিটের ম্যাচে ফয়সালা না হওয়ায় পেনাল্টিতে যায় খেলা। টাইব্রেকারে দুই দলই একটা করে পেনাল্টি মিস করায় তা চলে যায় সাডেন ডেথে। সেখানে ফের সেভ করে দলকে জিতিয়ে দেন মোহনবাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইত। কোয়ার্টার ফাইনালের মতোই সেমিফাইনালেও তাঁর হাত ত্রাতা হয়ে ওঠে।