India vs Australia Test Series : ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে বর্ডার গাভাস্কার ট্রফি। তাতে মুখোমুখি হবে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। এই টেস্ট সিরিজের উপর নির্ভর করছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরে কারা ফাইনালে যাবে। ফলে এই টুর্নামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুই দলই এই মুহূর্তে প্রস্তুত এবং শেষ মুহূর্তের ফিনিশিং টাচে ব্যস্ত। নাগপুরে ৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম ম্যাচ খেলার আগে অস্ট্রেলিয়া দল এই মুহূর্তে নেট প্র্যাকটিস করছেন। তবে তাদের যে স্পিন-ভীতি, বলা ভালো বিশেষ করে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ভীতি এইভাবে তাড়া করে বেড়াবে, তা কে জানত?
আরও পড়ুনঃ ঘরে ফিরলে আরও আনন্দ, চ্যাম্পিয়ন টিমের মেয়ে রিচা ঘোষের অপেক্ষায় শিলিগুড়ি
অশ্বিনের ডুপ্লিকেট জোগাড় অস্ট্রেলিয়ার
ভারতীয় তারকা স্পিনারকে নিয়ে এই পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়া দল সঙ্গে মোকাবিলা করার আগে এক অদ্ভুত পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। তারা অশ্বিনের একজন ডুপ্লিকেট বোলার খুঁজে বের করেছেন। এই বোলারের বোলিং অ্যাকশন অনেকটা অশ্বিনের মত। তার নাম মহেশ পিথিয়া। এখন তাঁকে দিয়ে নেটে বল করিয়ে অশ্বিনের জন্য প্রস্তুতি সারতে চেষ্টা করছেন অস্ট্রেলিয়া ব্যাটসম্যানরা।
জুনাগড় থেকে এসেছেন পিথিয়া
২১ বছরের স্পিন বোলার পিথিয়া গুজরাটের বাসিন্দা, তিনিও অশ্বিনের মতোই অফ স্পিন বল করেন এবং তাঁর অ্যাকশনও অনেকটা নকল করেন। তিনি অশ্বিনকেই আদর্শ বলে মনে করেন। অশ্বিনের মতো অ্যাকশন হওয়ার কারণে সোশ্যাল মিডিয়াতে অস্ট্রেলিয়া ম্যানেজমেন্ট তার বোলিংয়ের ভিডিও দেখে ঠিক করেন যে পিথিয়াকে ক্যাম্পে ডেকে নিয়ে এসে সিরিজের প্রস্তুতি সারবেন। এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া দল বেঙ্গালুরুতে রয়েছে এবং ফ্রেন্ডলি পিচ বানিয়ে তাতে প্র্যাকটিস করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় ট্রেনিং এর জন্য স্টেডিয়াম ম্যানেজমেন্ট ৩ টি পিচ তৈরি করে দিয়েছে। প্রত্যেক পিচে যত বেশি খেলা হতে থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
কে এই পিথিয়া?
গত বছর ডিসেম্বরে বরদার জন্য ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে ডেবিউ করেছেন। এখনও পর্যন্ত পিথিয়া শুধুমাত্র চারটি ম্যাচ খেলেছেন যাতে তার ৭ টি ইনিংসে ৮ উইকেট রয়েছে। অশ্বিনের মতই পিথিয়ারও ব্যাটিংয়েও হাত ভাল। তার স্বপ্নের অশ্বিনের সঙ্গে দেখা করা এবং টিম ইন্ডিয়ার জন্য খেলা। পিথিয়া খুব শিগগিরই আইপিএলেও খেলবেন। ১১ বছর বয়সের আগে তিনি অশ্বিনের বোলিং দেখেননি কারণ বাড়িতে টিভি ছিল না। কিন্তু তিনি প্রথমবার ২০১৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অশ্বিনের বোলিং দেখেন এবং তারপর থেকে তাকে আদর্শ বলে মনে করেন।