তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক ভারত-নিউজিল্যান্ড তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে। উইকেটটা আবার ছিল ঋষভ পান্তের। পল রেইফেল এমন এক সিদ্ধান্ত নিলেন ম্যাচের সবচেয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। নিউজিল্যান্ড ডিআরএস নেওয়ার পর পান্তকেও দেখা যায় আম্পায়াদের সঙ্গে কথা বলতে। দেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ ঠেকাতে মরিয়া চেষ্টা করতে থাকা ভারতের জন্য এই উইকেট খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
কী ঘটেছিল?
ভারতের টপ অর্ডার দ্রুত ধসে যাওয়ার পরেও আক্রমণের রাস্তা থেকে সরে না এসে নিউজিল্যান্ড স্পিনারদের ঠিক জায়গায় বলই করতে দেননি পান্ত। লাঞ্চের ফাঁকেই হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। ৬ উইকেট হারিয়েও তাঁর ব্যাটেই জয়ের আশা ও তার সঙ্গে হোয়াইটওয়াশ ঠেকানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। লাঞ্চের পর আক্রমণের গতি বেড়েছিল। ভারত আরও দ্রুত এগোচ্ছিল লজ্জা এড়ানোর লক্ষ্যে। তবে সেই সময়ই ছন্দপতন। ব্যাট আর প্যাডে বল লেগে টম ব্লান্ডেলের হাতে চলে যায়। আউটের সিদ্ধান্ত দিয়ে দেন তৃতীয় আম্পায়ার। শুরুতে আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ নেয় নিউজিল্যান্ড। রিপ্লে দেখতে দেখতে পল রেইফেল নিজেও খুব নিশ্চিত ছিলেন না।
ভাবছিলেন, আল্টা এজে খুব ছোট স্পাইক দেখা গেলেও সেটা কি ব্যাট প্যাডে লাগার আওয়াজ নাকি বল ব্যাটে লাগার। সেই দ্বন্দের মধ্যেও আউটই দিয়ে দেন রেইফেল । সাধারণভাবে আম্পায়াররা নিশ্চিত না হলে ব্যাটারদের পক্ষেই রায় দেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে সেটা হয়নি। শেষ অবধি ম্যাচটা ২৫ রানে জিতেই যায় নিউজিল্যান্ড। ঋষভ পান্তের এই উইকেটটা মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া মুহূর্ত। কারণ এর আগে সাত উইকেট হারালেও, মনে হচ্ছিল না ভারত হারতে পারে।
২৫ রানে হার ভারতের
পান্ত আউট হওয়ার পর অশ্বিনঅ আউট হয়ে যান। পরের বলেই আউট হন আকাশদীপ। ফলে ওয়াশিংটন সুন্দরের কিছুই করার ছিল না। শট খেলে দ্রুত রান করতে গিয়ে আউট হন তিনি। ২৯ ওভার ১ বলে ১২১ রানে অল আউট ভারত। এজাজ প্যাটেল ছয় উইকেট নিয়ে চলে যান। তাই স্যান্টনারের অভাবও বুঝতে পারেননি টম ল্যাথামরা।