২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমস ভারতে আয়োজিত হওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়ল। কমনওয়েলথ আয়োজনের জন্য ইতিমধ্যেই দরপত্র জমা দিয়েছে ভারত। ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন তার অনুমোদন দিয়েছে। তবে চূড়ান্ত দরপত্র জমা দিতে হবে ৩১ অগাস্টের মধ্যে। তারপরই ভারতের কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
নিয়ম অনুযায়ী ভারতে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজিত হলে সরকারকে সমস্ত খরচ বহন করতে হবে। আহমেদাবাদকে ভেন্যু হিসেবে ঘোষণার পরিকল্পনা করে এগোনো হচ্ছে। দেশের মাটিতেই যাতে কমনওয়েলথ আসর বসে, তার জন্য পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর কাজ শুরুও করে দিয়েছে গুজরাত সরকার। সূত্রের খবর, গোটা বিষয়টি নিজে তদারকি করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
কমনওয়েলথের আসর বসানোর উপযুক্ত কি না তা সরজমিনে খতিয়ে দেখতে ভারতে এসেছিল কমনওয়েলথ স্পোর্টের কর্মকর্তাদের একটি দল। তাদের পরিচালক ড্যারেন হলের নেতৃত্বে একটি গল সম্প্রতি আহমেদাবাদ পরিদর্শন করে যান। বৈঠক করেন স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে। সেখানে গুজরাত সরকারের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। ভারতের চূড়ান্ত দরপত্র জমা দেওয়ার পর এদেশে আসতে পারেন কননওয়েলথ স্পোর্টের একটি বড় প্রতিনিধিদল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এর আগে একাধিক প্ল্যাটফর্মে বলেছেন যে ভারত ২০৩০ সালে অলিম্পিক গেমস আয়োজন করতে চায়। তখন থেকেই কার্যত পরিষ্কার আয়োজন করতে কতটা আগ্রহী সরকার।
ভারতের আয়োজনের সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত বলে দাবি করেছেন ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্সের সহ-সভাপতি আদিল সুমারিওয়ালা।তাঁর দাবি, কমনওয়েলথ আয়োজনের পর ভারত আরও বড় বড় ইভেন্টের আয়োজন করবে।
২০৩০ সালের অগাস্ট মাসে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের কথা ছিল কানাডার অ্যালবার্টায়। কিন্তু আর্থিক খরচ বহন করতে না পারার জন্য আয়োজক দেশ হিসেবে সরে দাঁড়ায় সেই দেশ। তারপরই এগিয়ে যায় ভারত। ২০২৬ সালেও একইভাবে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশ। তারপর থেকেই চাপে ছিলেন কমেনওয়েলথ কর্তারা। তবে ভারতের এগিয়ে আসায় তাঁরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন।