ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (IPL) ১৫ তম আসরে অনেক নতুন ক্রিকেটারকে উঠে আসতে দেখা গিয়েছে। আইপিএলের মূলমন্ত্র হল 'হিয়ার ট্যালেন্ট গেটস চান্স' এবং 2022 মরশুমেও তার অন্যথা হয়নি। কয়েকজন দুর্দান্ত ফাস্ট বোলারের আবির্ভাব হয়েছে এবার। এছাড়াও, হার্দিক পান্ডিয়া ভারতের সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসাবে উঠে এসেছেন।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে প্রথমবার গোটা মরশুম খেলে, উমরান মালিক ১৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ধারাবাহিকভাবে বল করায় সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজে ভারতীয় দলেও সুযোগ পেয়েছেন এই তরুণ বোলার। আরেক তরুণ বাঁহাতি পেসার মহসিন খান নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে নির্ভুল বোলিংয়ে সকলকে মুগ্ধ করেছেন।
এছাড়াও, চেন্নাই সুপার কিংসের মুকেশ চৌধুরী এবং সিমারজিৎ সিং, গুজরাত টাইটানসের যশ দয়াল এবং রাজস্থান রয়্যালসের কুলদীপ সেনও বিশ্বের বৃহত্তম টি-টোয়েন্টি লিগে দারুণ ফর্মে ছিলেন।
তরুণ ব্যাটসম্যানরাও তাদের শক্তি দেখিয়েছেন
কয়েকজন তরুণ ব্যাটসম্যানও দেখিয়েছেন যে তারা শীর্ষ পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা রাখেন। তাদের মধ্যে ছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের তিলক ভার্মা, যাকে তাঁর অধিনায়ক রোহিত শর্মাও প্রশংসা করেছিলেন। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে ভারতীয় দলে খেলার যোগ্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন রোহিত। ভারতের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান বীরেন্দ্র শেহবাগ পঞ্জাব কিংসের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জিতেশ শর্মাকে দেখে খুব মুগ্ধ ছিলেন। তার দল প্লে অফে উঠতে ব্যর্থ হলেও প্রাপ্ত সুযোগ দারুণ ভাবে ব্যবহার করেছেন তিনি।
রাহুল ত্রিপাঠি এবং অভিষেক ভার্মা 'আনক্যাপড' (যারা কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি) খেলোয়াড়দের মধ্যে মুগ্ধ করেছে যারা অতীতে আইপিএল খেলেছে। ত্রিপাঠী অবশ্য ভারতীয় দলে জায়গা হারান।
সমালোচকদের চুপ করে দিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া
এই মরশুমের শুরু থেকেই হার্দিক পান্ডিয়া ভারতের ভবিষ্যত অধিনায়ক হিসেবে নিজের দাবি তুলে ধরেছেন। মরসুম শুরুর আগে হার্দিকের ফিটনেস নিয়ে সন্দেহ ছিল, কিন্তু বল ও ব্যাটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তিনি তাঁর নেতৃত্বের দক্ষতার ছাপ রেখেছেন।
এই খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সও ছিল স্মরণীয়।
আইপিএল আরও একবার প্রমাণ করেছে যে এই খেলায় বয়স কেবল একটি সংখ্যা। এই মরশুমে অভিজ্ঞ উমেশ যাদব, ঋদ্ধিমান সাহা এবং দীনেশ কার্তিকের শক্তিশালী পারফরম্যান্সের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ফিনিশার হিসেবে চমৎকার পারফরম্যান্সের পর কার্তিক ভারতীয় দলে আরেকটি প্রত্যাবর্তন করেন।
টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী পর্বে কেকেআর-এর হয়ে পাওয়ারপ্লেতে উমেশ দুর্দান্ত বোলিং করলে, সাহা পরবর্তী ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটানসের হয়ে ওপেনার হিসেবে দলকে ধারাবাহিক সূচনা দেন।