ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (IPL) 2023-এর মিনি নিলাম সম্প্রতি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল দরও করা হয় এবং নতুন রেকর্ড গড়ে ওঠে। ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার স্যাম কুরেনকে (Sam Curren) ১৮.৫০ কোটি টাকায় কিনেছে পঞ্জাব কিংস। এবার আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হয়েছেন স্যাম কুরেন।
কিন্তু এরই মধ্যে খবর আসছে যে আইপিএলের ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিজেই মিনি নিলামে খুশি নয়। এই কারণেই তিনি বিসিসিআই-এর কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন, যাতে বলা হয়েছে যে মিনি নিলাম করা উচিত নয়। তার জায়গায় ড্রাফ্ট ফরম্যাট আনতে হবে। এছাড়াও, প্রতি তিন বছরে একটি মেগা নিলাম হওয়া উচিত। ইনসাইডস্পোর্ট তাদের প্রতিবেদনে এই দাবি করেছে।
আরও পড়ুন: দল থেকে বাদ পড়ার সম্ভাবনাই প্রবল রাহুলের, বিকল্প কারা?
মিনি নিলাম সরানোর দাবি কেন?
কেন সব ফ্র্যাঞ্চাইজি মিনি নিলাম বন্ধ করার দাবি করেছিল? এর প্রধান কারণ খেলোয়াড়দের উচ্চ দর। অর্থাৎ মেগা নিলামের চেয়ে মিনি নিলামে খেলোয়াড়রা বেশি টাকায় বিড পায়। এবারও একই ঘটনা ঘটেছে, যখন স্যাম কুরেন ১৮.৫০ কোটিতে বিক্রি হয়েছিল। ক্যামেরন গ্রিনকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৭.৫ কোটিতে কিনেছে, বেন স্টোকসকে ১৬.২৫ কোটিতে চেন্নাই সুপার কিংস এবং হ্যারি ব্রুককে ১৩.২৫ কোটিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ কিনেছে।
আরও পড়ুন: শোয়েবের সঙ্গে ডিভোর্স হচ্ছে না? সানিয়ার নয়া পোস্টে সুখী সংসারের ইঙ্গিত
মিনি নিলামে এক সময় রাজস্থান রয়্যালস হ্যারি ব্রুকের জন্য ১৩ কোটি টাকা পর্যন্ত বিড করেছিল। তখনও তারা জানত না ব্রুককে নিলে তাদের মানিব্যাগ খালি হয়ে যাবে। একজন খেলোয়াড়কে কিনতে এত পরিমান টাকা খরচ হয়ে যাওয়ায় খুশি নয় হায়দরাবাদ দলও।
ড্রাফট ফরম্যাট আনার দাবি
সব ফ্র্যাঞ্চাইজি একসঙ্গে এখন বিসিসিআইকে ড্রাফট ফরম্যাট আনার দাবি জানিয়েছে। এই ফরম্যাট এলে খেলোয়াড়দের দাম আগেই নির্ধারণ করা হবে। এতে মিনি নিলামে বাজেট বাড়ানো বন্ধ হবে। প্রতি তিন বছর অন্তর আইপিএলে একটি মেগা নিলাম হয়। এই সময়ের মধ্যে প্রতিটি দলকে সর্বোচ্চ ৪ জন খেলোয়াড় রাখতে হবে। এ ছাড়া বাকি খেলোয়াড়দের নিলামে কেনা হয়।
মিনি নিলাম বন্ধের দাবির আরেকটি কারণ হলো, তারকা খেলোয়াড়দের এজেন্টরা তাদের খেলোয়াড়দের মেগা নিলামে আনতে চান না। মিনি নিলামে আরও টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন তারা। এমতাবস্থায় এজেন্টরা তাদের বড় খেলোয়াড়দের মিনি নিলামে আনতে পছন্দ করেন। এখন দেখার বিষয় বিসিসিআই এই প্রস্তাবে কী সিদ্ধান্ত নেয়।