'বিরাট কোহলির দম আছে।'সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly Virat Kohli) সঙ্গে বিরাটের হাত না মেলানোর ঘটনায় এবার মুখ খুললেন দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) সহকারী কোচ শেন ওয়াটসন (Shane Watson)। বৃহস্পতিবার কেকেআর-কে (Kolkata Knight Riders) চার উইকেটে জয়ের পর দলের ক্রিকেট ডিরেক্টর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে আরসিবি দলের তারকা বিরাটের হাত না মেলানোর কথা তুলে ধরেন ওয়াটসন। এই বিতর্কে নিজে ঢুকতে না চাইলেও বিরাটকে নিয়ে যা বললেন ওয়াটসন তা নিয়ে ফের বিতর্ক শুরু হয়ে যেতেই পারে।
কী ঘটেছিল ম্যাচে?
বিরাট কোহলির ভারতীয় অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সময় থেকেই সৌরভ-বিরাট বিবাদ বারেবারে শিরোনামে উঠে এসেছে। দুই মহাতারকার সম্পর্ক নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তাপ ছড়িয়েছে। সেই বিতর্ক আরসিবি বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস (RCB vs DC) ম্যাচে ফের একবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (Royal Challengers Bangalore) ম্যাচেও দেখা যায় সেই দৃশ্য। ম্যাচের পর একে অপরের হাত মেলাননি দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্রিকেট ডিরেক্টর সৌরভ ও আরসিবি-র প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট। সেই ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সোমবার শোনা যায়,সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অপরকে আনফলো করে দিয়েছেন সৌরভ ও বিরাট। নতুন করে কী হল, যার জন্য ফের চর্চায় সৌরভ-বিরাট?
ওয়াটসন কী বললেন?
এই বিষয়ে ওয়াটসন বিতর্কে ঢুকতে চাননি। এ কথা বলতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অলরাউন্ডার বলেন, 'আমি নিশ্চিত না হয়ে কিছু বলতে পারব না, হয়তো কেউ কেউ গুজব ছড়াচ্ছে। আমি এ সবের মধ্যে একেবারেই জড়াতে চাই না। তবে বিরাটের মধ্যে একটা বাড়তি উদ্যম দেখা গিয়েছিল। প্রতিপক্ষ হিসেবে বিরাট সবথেকে ভয়ঙ্কর। তবে ঠিক কী কারণে ওর মধ্যে এই বাড়তি উদ্যম দেখা গিয়েছিল, সেই বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই।' পাশাপাশি তিনি এও বলেন, 'যদি এটা সঠিক হয়ে থাকে তবে, বলতে হবে বিরাটের সাহস আছে।'
কী ভাবে শুরু হল দ্বন্দ্ব?
বছর দেড়েক আগে এই বিতর্ক শুরু হয়েছিল। কোহলির ওয়ানডে অধিনায়কত্ব চলে যাওয়া নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। সেই সময় বোর্ড প্রেসিডেন্টের চেয়ারে সৌরভ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ভারতের টি২০ অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন বিরাট কোহলি। তবে তিনি ওয়ানডে ক্যাপ্টেন্সি চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। বোর্ড তাঁকে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকেও সরিয়ে দেয়। প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, বিরাটকে বারণ করা হয়েছিল টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়তে। কিন্তু তিনি তা শোনেননি। এর পর নির্বাচকদের মনে হয়েছে, সাদা বলের ক্রিকেটে দু’জন অধিনায়ককে নিয়ে চলা সম্ভব নয়। বিরাটকে এভাবে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।