আরসিবি (Royal Challengers Bangalore) আইপিএল (IPL 2024) থেকে বিদায় নেওয়ার পরেই দীনেশ কার্তিকের (Dinesh Karthik) অবসর নিয়ে জল্পনা বেড়ে গিয়েছে। যদিও ম্যাচ শেষ হওয়ার পর, ভারতের উইকেট কিপার ব্যাটার যদিও এ নিয়ে কোনও বিবৃতি দেননি। টিভি সম্প্রচারের সময় জানানো হয়েছিল যে দীনেশ কার্তিক আইপিএল থেকে অবসর নিচ্ছেন। ১৬ বছর বিভিন্ন দলে আইপিএল খেলেছেন তিনি। ৪টি আইপিএল দলের হয়ে খেলেছেন ডিকে। এলিমিনেটর ম্যাচের পর কার্তিক যেভাবে তাঁর সতীর্থদের সঙ্গে কিপিং গ্লাভস উপরে তুলে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তাতে তাঁর অবসরের জল্পনা আরও বেড়ে গিয়েছে।
বুধবার আইপিএল ২০২৪-এর এলিমিনেটরে রাজস্থানের কাছে আরসিবি হেরে যায়। এরপরে, অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক- ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে এটিই তাঁর শেষ আইপিএল ম্যাচ। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে প্লে অফ (এলিমিনেটর) ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারার পর, দীনেশ কার্তিক সম্পর্কে লাইভ টিভিতে ঘোষণা করা হয়েছিল যে তিনি আর আইপিএল খেলবেন না। দীনেশ কার্তিক এই সময় তার কিপিং গ্লান্ডস খুলে ফেললে, ভক্তরা তাঁকে করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান। গোটা স্টেডিয়াম জুড়ে ডিকে, ডিকে স্লোগানও ওঠে।
এলিমিনেটর ম্যাচে রভম্যান পাওয়েল রাজস্থানকে জেতানোর পর ৩৮ বছর বয়সী দীনেশ কার্তিক, বিরাট কোহলিকে জড়িয়ে ধরেন। যদিও কার্তিক এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে আইপিএল থেকে অবসর নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেননি, তবে জিও সিনেমার প্রকাশিত ছবি এবং আইপিএল থেকে প্রকাশিত ভিডিও থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে কার্তিক আইপিএল থেকে অবসর নিয়েছেন। ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে চেন্নাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ধোনির টেস্ট অভিষেক হয়। ধোনির ওডিআই অভিষেক হয়েছিল ডিসেম্বর ২০০৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রামে। তবে, ধোনি এবং ডিকে-র টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল একই ম্যাচে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে।
তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডিকে অভিষেক করেন ধোনির আগে। দীনেশ কার্তিক ২০০৪ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক করেন। লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৪-এ তাঁর ওডিআই অভিষেক হয়। জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ডিসেম্বর ২০০৬-এ তাঁর টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়।
কার্তিকের আইপিএল ক্যারিয়ার
দীনেশ কার্তিক প্রাথমিক মরসুম থেকে এখন পর্যন্ত আইপিএলে খেলেছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন। তিনি ২৫৭ ম্যাচে ২২ হাফ সেঞ্চুরি সহ ৪৮৪২ রান করেছেন। কার্তিক আইপিএলের ইতিহাসে সেরা ১০ ব্যাটারের মধ্যে রয়েছেন। আইপিএল কেরিয়ারে কার্তিক ১৪৭টি ক্যাচ এবং ৩৬ টি স্টাম্পিং করেছেন।