অবশেষে থামল কলকাতার (Kolkata Knight Riders) বিজয়রথ। তিন ম্যাচ পর মুখ থুবড়ে পড়ল শ্রেয়াস আইয়ারের দল। তাও আবার চেন্নাই সুপার কিংসের (Chennai Super Kings) ঘরের মাঠে। সাত উইকেটে জিতলেন রুতিরাজ গায়কোয়াডরা। টসে জিতে কলকাতাকে ব্যাট করতে পাঠান রুতুরাজ। দারুণ বল করে কেকেআর-কে শুরু থেকেই চাপে ফেলে দেন ইয়েলো আর্মির বোলাররা।
মাত্র ১৩৭ রানে শেষ হয়ে যায় কলকাতার ইনিংস। রঘুবংশী ১৮ ম্যাচে ২৪ রান করে আউট হন। তবে প্রথম বলেই ফেরেন ফিল সল্ট। ওপেনার সুনীল নারিন আউট হন ২৭ বলে ২০ রান করে। ক্যাপ্টেন শ্রেয়াস আইয়ার ছাড়া কেউই সেভাবে রান করতে পারেননি। চিপকের মাটিতে ফের স্পিন অস্ত্রেই কেকেআর-কে ঘায়েল করল চেন্নাই। ম্যাচ শেষে পিচ নিয়ে অভিযোগ করতেও শোনা যায় শ্রেয়াস আইয়ারকে।
কলকাতার বিরুদ্ধে দারুণ বোলিং চেন্নাই সুপার কিংসের। তবে সবথেকে বেশি নজর কেড়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। চার ওভার বল করে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। তাঁর পাশাপাশি তুষার দেশপান্ডেও দারুণ ছন্দে ছিলেন। তবে একটু বেশি রান দিয়ে ফেলেন। চার ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে ৩৩ রান দিয়ে দেন তুষার। চার ওভারে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।
চেন্নাই যখন ব্যাট করতে নামে তখন দেখেই মনে হয়নি এই পিচে কোনও সমস্যা আছে। সময় যত গড়িয়েছে ব্যাট করা যেন আরও সহজ হয়ে গিয়েছে। ড্যারেল মিশেল, রুতুরাজ গায়কোয়াডরা দারুণ ব্যাট করেন। ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্যাপ্টেন রুতুরাজ। তাও মাত্র ৫৮ বলে। টি২০-র মতো ক্রিকেট না হলেও, এই ম্যাচের আন্দাজে যা বেশ কার্যকরী। ১৯ বলে ২৫ রান করে আউট হন ড্যারেল মিশেল। শেষ অবধি থাকতে না পারার আক্ষেপ হয়ত থাকবে শিভব দুবের। ১৮ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হন শিভম। শেষ দিকে নামেন ধোনি। তখন বাকি মাত্র ৩ রান। রুতুরাজকে স্ট্রাইক দিয়ে ক্যাপ্টেনকে উইনিং রান করতে দেন তিনি।