হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে ফাইনালে পৌঁছে গেল কেকেআর। শুরু থেকেই নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে দাপট দেখায় কলকাতা। যা অব্যহত থাকল শেষ বল অবধি। গোটা টুর্নামেন্টে দারুণ ছন্দে থাকলেও কেকেআর-এর সামনে চুপসে গেল প্যাট কামিন্সের দল। তবে কেন এমনটা হল? দেখে নেওয়া যাক হায়দরাবাদের আট উইকেটে হারের তিন কারণ-
টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত
আহমেদাবাদের উইকেটে শুরুতেই বল এতটা স্যুইং করবে তা ধরতেই পারেনি হায়দরাবাদ। পরের দিকে শিশির যে পড়বে তাও সম্ভবত আঁচ করতে পারেননি কামিন্সরা। সেই কারণে টসে জিতলেও শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তাঁরা। অন্যদিকে শ্রেয়াস আইয়ারকেও টসের পর বলতে শোনা যায়, তাঁরাও ফিল্ডিং করতেই চেয়েছিলেন। আর এই সিদ্ধান্তটাই বুমেরাং হয়ে ফেরে কামিন্সের সামনে। যার কোণ উত্তর ছিল না হেনরি ক্লাসেন বা ট্রভিস হেডদের সামনে।
স্টার্কের দূর্দান্ত স্পেল
একটা সময় রাহুল ত্রিপাঠি ও হেনরি ক্লাসেন উইকেটে জমে গিয়েছিলেন। বড় শটও মারছিলেন। তবে ক্লাসেন বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হতেই সমস্যায় পড়ে যায় হায়দরাবাদ। পরপর উইকেট পড়তে থাকে। এই জুটি গড়ে ওঠার আগে যেভাবে একের পর এক উইকেট হারাচ্ছিল SRH, ঠিক সেভাবেই বাকি উইকেটগুলোও হারিয়ে ফেলে তারা। মিশেল স্টার্ক দুর্দান্ত বল করেন। শুধু তাই নয়, মিডল অর্ডারকেও আটকে রাখেন স্পিনাররা। এতেই কাজ হাসিল হয়ে যায়। দুই উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী। ১৫৯ রানেই শেষ হয় হায়দরাবাদের ইনিংস।
ফিল্ডিং-এ ক্যাচ মিস
১৬০ রান ডিফেন্ড করতে নেমে কোনও সুযোগই ছাড়া যায় না। সেখানে বেশকয়েকটি ক্যাচ মিস করেন হায়দরাবাদ ফিল্ডাররা। শ্রেয়াস আইয়ার মাত্র ১৪ রানে ব্যাত করছিলেন তখন ক্যাচ মিস করেন ট্রাভিস হেড। তার আগে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ক্যাচ মিস করেন ক্লাসেন। ত্রিপাঠির সঙ্গে ধাক্কা লেগে এই ক্যাচ মিস করেন তিনি। কেকেআর ফিল্ডাররা অসাধারণ ফিল্ডিং করেন। বিশেষ করে আন্দ্রে রাসেল।