স্লগ ওভারে ঝড় তোলাই টি২০ ক্রিকেটের নিয়ম। আইপিএল-এর মেগা নিলামের শেষ দিনে সেটাই করল গতবারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স, বেঙ্কটেশ আইয়ারকে কিনতে গিয়ে প্রথম দিনই ২৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা বেরিয়ে গিয়েছিল কেকেআর-এর। হাতে মাত্র ৫১ কোটি টাকা নিয়ে নেমেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। নিলামে নাইট সমর্থকদের প্রত্যাশা কি পূরণ করতে পারল কেকেআর? এ নিয়ে উঠছে বিরাট প্রশ্ন।
২০১৪ সালের পর দীর্ঘ ১০ বছর লেগে গিয়েছিল ফের ট্রফি জিততে। গৌতম গম্ভীর ও শ্রেয়াস আইয়ার যে গতবার কলকাতাকে চ্যাম্পিয়ন করার পেছনে বিরাট বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাঁরা কেউই এবারে নেই। টিম কোনও ম্যাচ হারলে তাঁরা দলের প্লেয়ারদের ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিতেন। এখন যে টিম তৈরি হল কেকেআরের, সেখানে মুখ কে? শোনা যাচ্ছে বেঙ্কটেশ আইরের নাম। তবে তাঁকে নিয়েও সন্দেহ নাইট সমর্থকদের। ঋষভ পান্ত, লোকেশ রাহুলকে নিতে পারলে হয়ত সে প্রশ্নটা থাকত না।
যাদের রিটেন করেছিল কলকাতা
রিঙ্কু সিং (১৩ কোটি), বরুণ চক্রবর্তী (১২ কোটি), সুনীল নারিন (১২ কোটি), আন্দ্রে রাসেল (১২ কোটি), হর্ষিত রানা (৪ কোটি) ও রমনদীপ সিং (৪ কোটি)।
কাদের নিলাম থেকে কিনল কেকেআর?
বেঙ্কটেশ আইআর (ক্যাপড) – নিলামে দর পেলেন ২৩ কোটি ৭৫ লক্ষ।
অনরিখ নর্টজে (বিদেশি) (ক্যাপড) – নিলামে দর পেলেন ৬ কোটি ৫০ লক্ষ।
কুইন্টন ডি’কক (বিদেশি) (ক্যাপড) – নিলামে দর পেলেন ৩ কোটি ৬০ লক্ষ।
অংকৃষ রঘুবংশী (আনক্যাপড), বেস প্রাইস – ৩০ লক্ষ। নিলামে দর পেলেন ৩ কোটি।
স্পেনসর জনসন (বিদেশি) (ক্যাপড) – নিলামে দর পেলেন ২ কোটি ৮০ লক্ষ।
মইন আলি (ক্যাপড)- নিলামে দর পেলেন ২ কোটি।
রহমানুল্লাহ গুরবাজ (বিদেশি) (ক্যাপড)- নিলামে দর পেলেন ২ কোটি।
বৈভব অরোরা (আনক্যাপড)- নিলামে দর পেলেন ১ কোটি ৮০ লক্ষ।
রোভম্যান পাওয়েল (বিদেশি) (ক্যাপড) নিলামে দর পেলেন ১ কোটি ৫০ লক্ষ।
অজিঙ্ক রাহানে (ক্যাপড)- নিলামে দর পেলেন ১ কোটি ৫০ লক্ষ।
মনীশ পাণ্ডে (ক্যাপড)- নিলামে দর পেলেন ৭৫ লক্ষ।
উমরান মালিক (ক্যাপড)- নিলামে দর পেলেন ৭৫ লক্ষ।
অনুকূল রায় (আনক্যাপড)- নিলামে দর পেলেন ৪০ লক্ষ।
মায়াঙ্ক মার্কন্ডে (আনক্যাপড)-নিলামে দর পেলেন ৩০ লক্ষ।
লভনীথ সিসৌদিয়া (আনক্যাপড)-নিলামে দর পেলেন ৩০ লক্ষ।