আইপিএল ম্যাচ যত শেষের দিকে এগিয়ে আসছে, ততই উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করছে। সুপার ওভার, ডাবল সুপার ওভার সবকিছু মিলিয়ে এবারের টুর্নামেন্ট একেবারে জমে গেছে। এরই মাঝে দক্ষিণ দিল্লির কোটলা মোবারকপুর থেকে একটি ম্যাচ গড়াপেটা চক্রকে গ্রেপ্তার করল দিল্লি পুলিশ। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল গোপন সূত্রে খবর পেয়েই কোটলা মোবারকপুর এলাকার সাইনি বস্তি এলাকা থেকে একটি আইপিএল ম্যাচ গড়াপেটা চক্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দক্ষিণ দিল্লির DCP অতুল ঠাকুর বললেন, "গতকাল রাত সাড়ে দশটা নাগাদ আমরা সাইনি বস্তির একটি বাড়িতে হানা দিই। ঘটনাস্থল থেকে তিনজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এই গড়াপেটা চালাচ্ছিল।"
ওই তিনজন ব্যক্তির পরিচয় হল আশিষ গুপ্তা, যোগেশ এবং হিমাংশু রাওয়াত।
পুলিশের ওই আধিকারিক আরও যোগ করেন যে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি মোবাইল এবং তিনটি রেজিস্টার খাতা উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে ৬০,০০০ এবং ২৬,০০০ টাকা নথিভূক্ত করা আছে। এছাড়া আগে আরও সাড়ে তিন লাখ টাকাও নথিভূক্ত করা রয়েছে। সেইসঙ্গে একটি কলমও উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, গতকাল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ম্যাচ নিয়ে গড়পেটা চলছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, এই গড়াপেটা চক্রের বিরুদ্ধে দিল্লি গ্যাম্বলিং অ্যাক্টের আওতায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
তবে শুধুমাত্র দিল্লিই নয়, গোটা দেশ জুড়েই কমবেশি এই আইপিএল ম্যাচ নিয়ে গড়াপেটা চলছে। সম্প্রতি প্রয়াগরাজ, গুরুগ্রাম এবং হায়দরাবাদ থেকে মোট ১১জনকে এই ম্যাচ গড়াপেটার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচের দিন দিল্লির অশোকবিহার ফেজ়-৩ থেকে নরেন্দর সিং এবং পুল চান নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া এই একইদিনে রাজস্থানের অলওয়ার জেলা থেকেও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এদের কাছ থেকে তিনটি এলইডি টিভি, একটি মোবাইল ফোন, একটি নোটবুক এবং একটি পেন উদ্ধার করা হয়েছে।
গুরুগ্রাম পুলিশের মুখপাত্র সুভাষ বোকেন বললেন, "গোপন সূত্রে খবর পেয়েই হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওরা একটি আইপিএল ম্যাচ নিয়ে বেটিং করছিল। জুয়া আইনের অধীনে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।"