চলতি আইএসএল মরশুমে এই প্রথমবার অংশগ্রহণ করল এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু, ফলাফল একেবারেই ভালো করতে পারেনি। ২০ ম্যাচে তারা মাত্র ১৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পেরেছে। আর সেকারণেই ইতিমধ্যে ছিটকে গেছে টুর্নামেন্ট থেকে। দেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে দলের প্রধান কোচ রবি ফাওলার জানিয়ে গেছেন, ভারতীয় ফুটবলাররা খেলতে না পারার কারণেই প্রধানত চলতি আইলিগের পয়েন্ট টেবিলে ইস্টবেঙ্গল এমন খারাপ ফলাফল করেছে। ফাওলারের এমন মন্তব্যের পর লাল-হলুদ সমর্থকদের মধ্যে খানিকটা ক্ষোভও সঞ্চার হয়েছে। এমনকী, তাঁরা ফাওলারের পরিকল্পনাতেই গলদ বের করার চেষ্টা করছেন।
দলের আবহাওয়া যেখানে এতটা গরম, সেখানে পরিবেশ খানিকটা ঠাণ্ডা করলেন ইস্টবেঙ্গল শিবিরের অতন্দ্র প্রহরী দেবজিৎ মজুমদার। তিনি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দিন দুয়েক আগে একটা পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, "এই মরশুমটা আমাদের কাছে খুব কঠিন ছিল। বহু চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে আমাদের এগোতে হয়েছে। তবে আরও একবার লাল-হলুদ ব্রিগেডের হয়ে খেলতে পেরে আমি গর্বিত। আর সেটাও আবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগে। যে সকল সমর্থকেরা গোটা মরশুম জুড়ে আমাদের পাশে থেকেছেন, আমাদের শক্তি জুগিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাতে চাই।"
It was a tough season with many ups and downs but it was an honour to once again play in the Red and Gold, and this time...
তবে ইস্টবেঙ্গলের এই হতশ্রী পারফরম্যান্সের পিছনে যেটা সবথেকে বড় কারণ হয়ে সামনে উঠে আসছে, সেটা হল দলের কোনও বিদেশিই সেই অর্থে জ্বলে উঠতে পারেনি। অ্যান্থনি পিলকিংটন হোক কিংবা জ্যাকুয়েস মাঘোমা, আমাদি হলওয়ে থেকে ড্যানি ফক্স কেউই ৯০ মিনিটের লড়াইয়ে নিজেদের প্রমাণ করতে পারেনি। ব্রাইট একমাত্র ফুটবলার যিনি ইস্টবেঙ্গলের বিদেশিদের মধ্যে গোটা মরশুমে নজর কেড়েছেন। তাঁর ড্রিবলিং সত্যিই অসাধারণ। কিন্তু, কখন বল ছাড়তে হবে, সেটা তিনি জানেন না। সেকারণে গোয়ার বিরুদ্ধে তিনি একটা চোখ ধাঁধানো গোল করেছেন ঠিকই, কিন্তু পরের ম্যাচগুলোয় ব্রাইটে পা থেকে বেশ কয়েকটা ড্রিবলিং দেখা গেলেও গোলের দরজা তিনি খুলতে পারেননি।
তার উপরে দলটার ফিটনেস নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে রবি ফাওলারের ঢাল একটাই, তিনি অনুশীলন করানোর জন্য হাতে সময় একেবারেই অল্প পেয়েছেন। এমনকী, দেশে ফেরার আগেও তিনি এই একই কথা বলে গেছেন। সেইসঙ্গে এই আশ্বাসও দিয়েছেন যে পরের মরশুমের জন্য পরিকল্পনা তিনি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন।