পঞ্জাব এফসি-র (Punjab FC) বিরুদ্ধে অনুশীলনে ছিলেন না মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant) কোচ আন্তনিও লোপেজ হাবাস (Antonio Lopez Habas)। তখনই আশঙ্কা করা হয়েছিল, দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে হয়ত হাবাসকে ছাড়াই খেলতে নামবে সবুজ-মেরুন। তবে এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ, হাবাসের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে আগামিকাল ম্যাচের আগে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন তিনি। ঘরের মাঠে চেন্নাইয়েন এফসি-র বিরুদ্ধে হার লিগ শিল্ড জেতার রাস্তা কিছুটা হলেও কঠিন করে দিয়েছে। এমন অবস্থায় পঞ্জাব ম্যাচেও আইএসএল-এর সবচেয়ে সফল কোচের ডাগ আউটে না থাকলে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা মোহনবাগান ফ্যানদের।
দলে নেই সাহালও
মোহনবাগান দলের সঙ্গে দিল্লি যাননি মাঝমাঠের অন্যতম ভরসা সাহাল আব্দুল সামাদও। ভারতীয় দলের হয়ে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ফিরতি লেগের ম্যাচে অনুশীলনে চোট পেয়েছিলেন তিনি। অনুশীলনে ফিরলেও পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় দলের সঙ্গে দিল্লি যাননি। জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন হাবাস। তার জেরেই চেন্নাইয়েন ম্যাচে ডাগ আউটে থাকতে পারেননি। তবে কি পঞ্জাবের বিরুদ্ধে তিনি থাকবেন? মোহনবাগান দল সূত্রের খবর, তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। সহকারী কোচ ম্যানুয়েল কাসকালানা যদিও দাবি করলেন, ‘আগের চেয়ে অনেকটাই ভাল আছেন হাবাস। সব ঠিক থাকলে যোগ দেবেন।’ মঙ্গলবার পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে হেরে জিতে দুই নম্বরে উঠে এসেছে ওড়িশা এফসিও।
সব ম্যাচই জিততে হবে মোহনবাগানকে
লিগ শিল্ড জিততে হলে এখান থেকে সব ম্যাচ জিততে হবে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে। ১৯ ম্যাচ খেলে ৩৯ পয়েন্টে রয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। ওড়িশা এফসি ২০ ম্যাচ খেলে ৩৯ পয়েন্ট পেয়ে দুই নম্বরে রয়েছে। শীর্ষে থাকা মুম্বই সিটি এফসি ২০ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট পেয়েছে। বাকি দুই ম্যাচ জিতলে ৫০-এ পৌঁছে যাবে মুম্বই। মোহনবাগান সর্বোচ্চ ৪৮ পয়েন্টে পৌঁছতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে মুম্বই জিতে নেবে লিগ শিল্ড। যদিও একটা স্বস্তির খবর, মুম্বইকে খেলতে হবে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে। ফলে সেই ম্যাচ জিতে লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ থাকবে সবুজ-মেরুনের কাছে।
ওড়িশা বাকি দুই ম্যাচ জিতলে পৌঁছে যাবে ৪৫-এ। ফলে মুম্বই যদি আর এক পয়েন্টও পেয়ে যায় তা হলে শিল্ড জিততে পারবে না ওড়িশা। ফলে তাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা খুব একটা নেই।