মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant) লিগ শিল্ড (ISL League Shield) জেতার রাস্তা কঠিন করে ফেলেছে ঘরের মাঠে চেন্নাইয়েন এফসি-র কাছে হেরে। আর এমনটা যে হতে পারে তা বোধহয় হিসেবের মধ্যে ছিল না সমর্থকদের। তবে কাজটা আরও কঠিন হলেও হাতের বাইরে চলে যায়নি। হিসেব একদম পরিষ্কার। কঠিন কারণ, বাকি তিনটি ম্যাচই জিততে হবে সবুজ-মেরুনকে। তা হলেই মোহনবাগান শিল্ড চ্যাম্পিয়ন। তারমধ্যে, মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ম্যাচ যে নির্ধারক হতে চলেছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
তবে মোহনবাগান ফুটবলাররা এখনও আশাবাদী। নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখছেন আন্তনিও লোপেজ হাবাসের ছেলেরা। তিনটি ম্যাচই এখন তাদের কাছে ফাইনাল। সমর্থকদের ভালবাসাকে সম্মান জানাতেই জিততে চাইছেন জনি কাউকোরা। সুপার কাপ জিতে ইতিমধ্যেই এএফসি কাপে খেলার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। অন্তত দল গঠনের ক্ষেত্রে তো বটেই। এই অবস্থায় লিগ শিল্ড জিততে পারলে তবেই এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ পাবে সবুজ-মেরুন। আর এটাই শেষ বছর। এরপর আর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সরাসরি সুযোগ পাবে না ভারতের ক্লাবগুলি। ফলে শেষবার এশিয়া সেরা হওয়ার সুযোগ আসবে মোহনবাগানের সামনে। আর এই সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ মোহনবাগান।
কবে ম্যাচ রয়েছে মোহনবাগানের?
শনিবার তাদের ম্যাচ রাউন্ডগ্লাস পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার তাদের ম্যাচ বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে। সোমবার মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে মহারণ। তবে মুম্বই ম্যাচ বাদ দিলে বাকি দুই ম্যাচই অ্যাওয়ে। শনিবারের ম্যাচে আবার দর্শকরা থাকতে পারেন না। ফলে মোহনবাগানের যে ক'জন সমর্থক দিল্লি গিয়ে দলকে সমর্থনের কথা ভেবেছিলেন তাদেরও উপায় নেই। এরপর সুপার সিক্সের লড়াইয়ে প্রবলভাবে টিকে থাকা থাকা বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধেও খেলতে হবে অ্যাওয়ে ম্যাচ। কান্তিরাভায় খেলতে বেগ পেতে হয় সব দলকেই। তবে এই ম্যাচ জিততেই হবে মোহনবাগানকে। তারা জিতলে লাভ হবে ইস্টবেঙ্গলেরও।