প্লে অফের (ISL Play Offs) মাঝেই দল তুলে নিল কেরল ব্লাস্টার্স (Kerala Blasters)। বেঙ্গালুরু এফসি-র (Bengaluru FC) বিরুদ্ধে ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে দল তুলে নিল তারা। এমন ঘটনা কলকাতা ময়দানে নতুন না হলেও আইএসএল-এ (ISL) এমন ঘটনা প্রথম। ফলে ০-১ গোলে ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল বেঙ্গালুরু এফসি।
কেন দল তুলে নিল কেরল?
ম্যাচের ৯৭ মিনিটে ফ্রিকিক পায় বেঙ্গালুরু। দ্রুত সেই ফ্রিকিক নিয়ে নেয় তারা। সেখান থেকেই গোল করেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। আর এর জেরেই প্রতিবাদে ফেটে পড়েন কেরল ফুটবলাররা। রেফারি ক্রিস্টাল জন যদিও সেই প্রতিবাদে কান দেননি। বেঙ্গালুরুর পক্ষে গোল দিয়ে দেন। দল তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেরল ব্লাস্টার্স। এর জেরে বড় শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে কেরল দলকে। এর আগে ২০১৫ সালে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ফাইনালে পোস্ট ম্যাচ প্রেস কনফারেন্সে না আসার জন্য বড় শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল এফসি গোয়াকে (FC Goa)। আর এবার পুরো ম্যাচ না খেলেই উঠে গেল কেরল। তাদের অভিযোগ রেফারি বাঁশি বাজানোর আগেই ফ্রি কিক নিয়ে নিয়েছে বেঙ্গালুরু।
কী বলছে নিয়ম?
মিয়ম অনুসারে সাধারণ ফ্রিকিক হলে, অর্থাৎ কোনও ফুটবলার যদি গুরুতর আহত না হন বা কোনও ফুটবলারকে যদি হলুদ বা লাল কার্ড দেখানোর না থাকে তবে রেফারির বাঁশি বাজার আগে দ্রুত ফ্রিকিক নেওয়া যায়। তবে যদি তা না হয় তা হলে রাফারি বাঁশি বাজানোর পর ফ্রিকিক নিতে হয়।
এক্ষেত্রে যদিও সাধারণ ফাউল হয়েছিল। কোনও ফুটবলারকে কার্ড দেখানোর প্রয়োজন পড়েনি বা কোনও ফুটবলার মাটিতে পড়ে ছিলেন এমনটাও নয়। ফলে রেফারির বাঁশি বাজানোর আগেই ফ্রিকিক নেওয়াতে কোনও আপত্তি দেখছেন না ফুটবলার বিশেজ্ঞরা।
ট্যুইটারে তরজা
ঘটনার পরে একটি ট্যুইট করা হয় কেরল ব্লাস্টার্সের পক্ষ থেকে। সেখানে লেখা হয়, 'আমরা এখনও বুঝতে পারছি না কখন রেফারি ওয়ালের দূরত্ব মাপলেন বা ফ্রি কিকের বাঁশি বাজালেন।' এর পাল্টা দিয়েছে বেঙ্গালুরু এফসিও। তারা লিখেছে, 'এটাকে কুইক ফ্রিকিক বলে। তা হলে সাবধানে বাড়ি যাও।' এই বিতর্কের মাঝেই রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ব্বেশ কয়েকজন ফুটবল ফ্যান। তাঁরা মনে করেন, এভাবে গোল দেওয়া যায় না। তবে এখন দেখার দল তুলে নেওয়ায় কী শাস্তি হয় কেরল ব্লাস্টার্সের।