খেলোয়াড় জীবনে কোনওদিন ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) জার্সি গায়ে চাপাননি। প্রচুর টাকার অফার থাকলেও ছেড়ে যাননি প্রাণের প্রিয় মোহনবাগানকে (Mohun Bagan)। সেই হোসে রামিরেজ ব্যারেটোকেই (Jose Ramirez Barreto) লাল-হলুদ জার্সিতে বরণ করে নিল ইস্টবেঙ্গল। বুধবার সন্ধ্যায় হঠাৎ ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে আসেন ব্যারেটো। খেলা ছেড়ে দিলেও কোচিং-এ হাত পাকাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। আর সেই কোচিং-এর সুচনা হতে পারে লাল-হলুদ ক্লাব থেকেই এমন ইঙ্গিতও পাওয়া গেল।
আইএসএলে টানা ব্যর্থতার পর এএফসিতে চ্যালেঞ্জ লিগে দারুণ পারফরম্যান্স করেছে ইস্টবেঙ্গল। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গিয়েছেন সল ক্রেসপোরা। আইএসএল-এ টানা ছয় ম্যাচ হারের ধাক্কা কাটিয়ে ১১ বছর পর আন্তর্জাতিক মঞ্চে নক আউট পর্বে উঠে গিয়েছে লাল-হলুদ। ইস্টবেঙ্গল-নেজমে ম্যাচ দেখার সুযোগ হয়নি ব্যারেটো। সেদিনই কলকাতায় আসেন তিনি। তবে এক বন্ধুর মোবাইলে ম্যাচের কিছু অংশ দেখেছেন। ব্যারেটো মনে করেন, অনেক সময় কোচ বদল করলে ফল আসে। পাশাপাশি তিনি মনে করেন, এই মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে এবার আইএসএলে ঘুরে দাঁড়ানো উচিত ইস্টবেঙ্গলের।
এ মরসুমে মোহনবাগানের শুরুটা ভাল না হলেও মহমেডান স্পোর্টিং ম্যাচ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তারপর ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ডার্বি জয়। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জয়ের হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। হোসে মোলিনার কোচিং স্টাইল বেশ পছন্দ ব্যারেটোর তাই এবারেও চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে রাখছেন প্রিয় ক্লাবকে।
বোঝাই যাচ্ছে কলকাতায় সবসময় না থাকলেও ফুটবলের সমস্ত খবরাখবর তাঁর নখদর্পণে। নিয়মিত আইএসএলও দেখেন। আগামী মরসুমেই হয়তো পেশাদার কোচিংয়ে দেখা যাবে হোসে রামিরেজ ব্যারেটোকে। কে বলতে পারে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কলকাতা দিয়েই তাঁর যাত্রা শুরু হতে পারে। এত তাড়াতাড়ি পেশাদার কোচিংয়ে আসার ইচ্ছে ছিল না ব্যারেটোর। কিন্তু তাঁর লক্ষ্য প্রো লাইসেন্স করা। আবেদন করলেও নিয়ম অনুযায়ী কোনও পেশাদার ক্লাবে কোচ হিসেবে যুক্ত থাকতে হবে তাঁকে। সেই কারণেই ভাবনা-চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন ব্রাজিলীয় তারকা।
সেই যাত্রা কী এবার ইস্টবেঙ্গল থেকেই শুরু হবে? সে ব্যাপারে যদিও কিছু জানানি ব্যারেটো। তবে বুধবার হঠাৎ তাঁর ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে আসা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। সমর্থকদের একাংশের মতে প্রো লাইসেন্স পেতে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে কাজ করতে পারেন তিনি। তবে সবটাই এখনও রয়েছে জল্পনা স্তরেই।