কার্লেস কুয়াদ্রাত কোচ হয়ে আসার পর থেকে যেন নিজেদের চেনা পুরোনো ছন্দে ফিরেছে ইস্টবেঙ্গল। দলটাকে তিনি এমনভাবে তৈরি করেছেন দেখে মনেই হয় না যে, এই দলই এতদিন ছন্নছাড়া ছিল। দলের খেলা দেখে সমর্থকরা বিরক্ত হতেন। এমনকি যে ইস্টবেঙ্গল গত ৩-৪ বছর ধরে আইএসএল টেবিলের নিচের দিকে শেষ করত, তারাই এখন পরপর দুটো টুর্নামেন্টের ফাইনালে। কুয়াদ্রাত ইস্টবেঙ্গলকে ডুরাণ্ড কাপের ফাইনালে নিয়ে যান। কিন্তু মোহনবাগানের কাছে হেরে ট্রফি হাতছাড়া হয় লাল হলুদের। আর এবার সুপার কাপেও ফাইনাল লাল-হলুদ। তবে ফাইনালে সামনে কারা? ফাইনালে খেলতে পারবেন ভারতীয় দল থেকে ফিরে আসা নাওরেম মহেশ সিং? সেটাও একটা বড় প্রশ্ন।
ফাইনালে খেলতে পারবেন নাওরেম মহেশ
ফাইনালে পৌঁছে গেলেও নাওরেম মহেশ কি খেলতে পারবেন ফাইনালে? তিনি ভারতীয় দলের সঙ্গে এএফসি এশিয়ান কাপের দলে ছিলেন। ভারতীয় দলের এশিয়ান কাপের আশা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে মহেশ দেশে ফিরবেন ঠিকই। কিন্তু তাঁর রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় ফাইনালে খেলতে পারবেন না তিনি।
ইস্টবেঙ্গলকে ফাইনালে কাদের সামনে?
ইস্টবেঙ্গলের সামনে ফাইনালে কারা তা এখনও ঠিক হয়নি। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ওড়িশা এফসি ও মুম্বই সিটি এফসি। এই দুই দলের মধ্যে যারা জিতবে তারাই ফাইনালে পৌঁছে যাবে। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জেতার পাশাপাশি প্রাধান্য নিয়ে খেলেছে লাল-হলুদ। ডুরান্ডের ফাইনালে হেরেও দমে যায়নি কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। বলা ভালো, এই হারের পরে নিভে যায়নি লাল হলুদের মশাল। ডার্বি হারের যন্ত্রনা তাদের আরও উজ্জীবিত করে তুলেছিল। সুপার কাপের ডু অর ডাই ম্যাচে আবার মুখোমুখি হয়েছিল সবুজ মেরুন বনাম লাল হলুদ। আবার একটা ডার্বি। কিন্তু শেষ হাসি হেসেছিল ইস্টবেঙ্গলই।
কীভাবে জামশেদপুর ম্যাচ জিতল ইস্টবেঙ্গল
ম্যাচের বয়স যখন ১৯ মিনিট তখন গোল করে দলকে এগিয়ে দেন হিজাজি মেহের। এরপর ৪৭ মিনিটে ফের গোল করে সিভেরিও ২-০ করে দেন। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি জামশেদপুর এফসি। অপরদিকে, আজ দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে খেলতে নামছে ওড়িশা এফসি ও মুম্বই সিটি এফসি। এই ম্যাচের ওপরই নির্ভর করছে ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য। কে হবে লাল হলুদের প্রতিপক্ষ তা নির্ধারিত হয়ে যাবে এই ম্যাচেই।