এআইএফএফ-এর (AIFF) সভাপতি নির্বাচিত হলেন কল্যাণ চৌবে (Kalyan Chaubey)। শুক্রবার ভাইচুং ভুটিয়াকে (Bhaichung Bhutia) ভোটে পরাজিত করে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF Election) নির্বাচনে জয় পেলেন ভারতের প্রাক্তন গোলরক্ষক। এম দত্ত রায়, বিশ্বনাথ দত্ত ও প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির পর আবারও কোনও বাঙালি এআইএফএফ-এর মসনদে বসতে চলেছেন। ১৩ বছর পর ফের বাঙালি হিসেবে এআইএফএফ-এর দায়িত্ব নিতে চলেছেন কল্যাণ। তবে সরাসরি বাংলার প্রতিনিধিত্ব করছেন না তিনি। গুজরাত ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের হয়ে ভোটে লড়াই করেছিলেন কল্যাণ। ৩৩-১ ব্যবধানে ভাইচুং ভুটিয়াকে হারিয়ে দিলেন কল্যাণ।
নির্বাচনে কল্যাণ চৌবে এবং ভাইচুং ভুটিয়া প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। দুই ফুটবলারই জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দুই প্রাক্তন ফুটবলারেরই ক্লাব ফুটবলে সাফল্য নজরকাড়া। গোলরক্ষক হিসেবে কল্যান চৌবে টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমী থেকে বেরিয়ে দুই প্রধানে খেলেছেন। খেলেছেন ভারতের অন্যান্য নানা প্রান্তের ক্লাবেও। অন্যদিকে ভাইচুং ভুটিয়া ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তী। ক্লাব ফুটবল এবং জাতীয় দলের হয়ে তাঁর সাফল্য এতটাই যে বিদেশের মাটিতে দেশের ফুটবলের মুখ তিনিই। তবে নির্বাচনের ময়দানে দেশের অন্যতম সেরা সেই স্ট্রাইকারকেই টেক্কা দিয়ে গেলেন কল্যাণ চৌবে।
আরও পড়ুন: ২২ গজে ফিরছেন ক্যাপ্টেন সচিন, কবে-কোথায় ম্যাচ?
৩৪টি ভোট রয়েছে ফেডারেশনের নির্বাচনে। ভোটের অঙ্কে কল্যাণ চৌবের জয়ের জন্য নুন্যতম ১৮টি ভোট দরকার ছিল। সেই হিসাবে গুজরাত ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন থেকে ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদপ্রার্থী কল্যান চৌবে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন। গত লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে তৃনমুল কংগ্রেস মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বিজেপির পদপ্রার্থী কল্যান চৌবে ভোটের আগেই ২৮টি রাজ্য সংস্থার মৌখিক সম্মতি পেয়েছেন। অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া বাইচুং ভুটিয়ার ছয়টি ভোটের নিশ্চয়তা ছিল। ভোটে লড়াই করলেও দুই প্রাক্তন ফুটবলারই একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
আরও পড়ুন: T20 বিশ্বকাপে ভারতের দল ঘোষণা শীঘ্রই, কারা থাকতে পারেন?
দিন কয়েক আগে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভাইচুং বলেছিলেন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ফেডারেশন গড়ার সুযোগ সামনে এসে গিয়েছে। একই সঙ্গে কল্যাণ চৌবেকে ভালো মানুষ বলেছিলেন। একই সঙ্গে তার যুক্তি ছিল, ফেডারেশনের সভাপতি হতে গেলে এআইএফএফ-এর কাজের যে অভিজ্ঞতা দরকার তা তাঁর রয়েছে। তাই কাজের সুযোগ তাঁরই পাওয়া উচিত। যদিও ভোটের অঙ্কে হার মানতে হল তাঁকে।