আগামী শুক্রবারই AIFF-এর নির্বাচন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাংলার থেকে কোন কর্তাই এখনও মনোনয়ন জমা দেননি। সভাপতি পদের জন্য তো বটেই এমনকি এক্সিকিউটিভ কমিটির জন্যও মনোনয়ন জমা দেননি বাংলার কেউ। ফলে বাংলার ফুটবলের নানা দাবি সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তুলে ধরবেন কে? তা নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে। বাংলার হয়ে না দাঁড়ালেও গুজরাত ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার কল্যাণ চৌবে (Kayan Chaubey)। সূত্রের খবর, তিনি এই নির্বাচনে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। লড়াইয়ে রয়েছেন ভাইচুং ভুটিয়াও (Bhaichung Bhutia)। বাংলার দুই প্রধানের হয়ে সফল হলেও ভাইচুং লড়ছেন অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে। সমর্থন জানিয়েছে রাজস্থান ফুটবল ফেডারেশন।
বাংলার হয়ে খেলেছেন কল্যাণ
সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার হয়ে খেলেছেন কল্যাণ। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কলকাতায় তিনি একটি অফিস খুলবেন। তিন প্রধানের পাশেই থাকবেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ''বাংলা থেকেই আমি বড় হয়েছি। ফলে বাংলার প্রতি আমার দায়বদ্ধতা থাকবে। নির্বাচনে জিতলে কলকাতায় একটা অফিস খুলব। সেই অফিসের দরজা সকলের জন্যই খোলা থাকবে। ইস্টবেঙ্গল (East Bengal), মোহনবাগান (Mohun Bagan), মহামেডানের (Mohammedan Sporting) পাশপাশি বাংলার অন্যান্য ক্লাবকেও সাহায্য করব।'' তবে তিনি তো আইএফএ-এর (IFA) প্রতিনিধি হিসেবেই লড়তে পারতেন। তা না হওয়ায় বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থার উপর কী ক্ষুব্ধ কল্যাণ? এভাবে বিষয়টা দেখতে নারাজ বাংলার প্রাক্তন গোলরক্ষক। তিনি বলেন, ''আইএফএ চেয়েছিল সভাপতি পদে লড়ুন সুব্রত দত্ত। তবে তা হয়নি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের জন্য। তাই ক্ষোভের কিছু নেই।''
'ভাইচুংকে সম্মান করি'
সভাপতি নির্বাচনে ভাইচুং তাঁর প্রতিপক্ষ হলেও কল্যাণ কিন্তু ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের প্রতি এখনও সমান শ্রদ্ধাশীল। কল্যাণ বলেন, ''খেলার সময়ও ভাইচুংকে শ্রদ্ধা করতাম। এখনও করি। প্রতিপক্ষ হিসেবে ভাইচুংকে হালকা ভাবে নিচ্ছি না। শুধু আমার জেতা নয়, গোটা প্যানেলকেই জেতান আমার লক্ষ্য।'' ৩৪টি ভোটের মধ্যে অন্তত ২৮টি ভোট পেতে পারেন কল্যাণ। এমনটাই শোনা যাচ্ছে। তবুও জয়ের ব্যাপারে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলছেন না কল্যাণ।
'কল্যাণ ভাল ছেলে' বললেন ভাইচুং
মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন ভাইচুং ভুটিয়া। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, ''কল্যাণ ভাল ছেলে। কলকাতার মাঠে খেলেছে। এই নির্বাচনে প্রত্যেকেরই একটা অবস্থান নেওয়া দরকার। ফুটবলের সঙ্গে রাজনীতির সংসর্গ থাকায় গত ৭৫ বছরে ফুটবলের অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। ফিফার নির্বাসনের পরে স্পোর্টস ল-র মাধ্যমে এবার একটা সুযোগ এসেছে ভারতীয় ফুটবলের খোলনলচে বদল করার। যে সভাপতি হবেন সে যদি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকেন এবং রাজ্যের প্রশাসন ভিন্ন রাজনৈতিক দল হয় তাহলে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে।'' প্রসঙ্গত, কল্যাণ চৌবে বিজেপির নেতা। বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে লড়তেও দেখা গিয়েছে। বিজেপির বিভিন্ন আন্দোলনেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন কল্যাণ। আর সেই জন্যই এই বার্তা দিলেন ভাইচুং।