বিরাট কোহলি বনাম গৌতম গম্ভীর। IPL-২০২৩ এ এটাই এখন চর্চিত বিষয়। লখনউয়ের একনা স্টেডিয়ামে গৌতম গম্ভীর এবং বিরাট কোহলির মধ্যে বিবাদ কার্যত স্পষ্ট করে দেয়, তাঁদের দুজনের সম্পর্ক মোটেও ভালো নয়। দেখেশুনে অনেকেই বলছেন, একে অপরকে চোখ রাঙানো, তর্কাতর্কি সব হয়েছে দুজনের মধ্যে। বাকি ছিল শুধু মারপিট।
১ মে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB) এবং লখনউ সুপার জায়ান্টস (LSG) ম্যাচের পর কোহলি-গম্ভীরের ঘটনা সামনে আসে। RCB এই ম্যাচে জেতে। লখনউ ১৮ রানে হারে। ম্যাচ জিততে লখনউকে ১২৭ রানের টার্গেট দিয়েছিল RCB। জবাবে, কেএল রাহুলের নেতৃত্বে লখনউ দল মাত্র ১০৮ রানে গুটিয়ে যায়।
ম্যাচ শেষে সব খেলোয়াড় একে অপরের সঙ্গে হাত মেলায়। কোহলি ও গম্ভীর একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করেন। কিন্তু তারপরই বিরাট কোহলি, লখনউয়ের মেন্টর গৌতম গম্ভীর, লখনউয়ের খেলোয়াড় নবীন-উল-হক নিজেদের মধ্যে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
কোহলি ও গম্ভীর তর্কাতর্কি
ম্যাচ শেষে বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীরের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। আর তা এতটাই উত্তপ্ত হয় যে, বাকি খেলোয়াড় ও কর্মীদেরও হস্তক্ষেপ করতে হয়। সেই ভিডিও এবং ছবি ভাইরাল হচ্ছে। ভিডিওতে লখনউ দলের অমিত মিশ্র, বিজয় দাহিয়া, কেএল রাহুল এবং বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসকেও হস্তক্ষেপ করতে দেখা যায়।
বিরাটের কারণেই কি বিতর্ক শুরু?
একানা স্টেডিয়ামের অনেক ভাইরাল ফুটেজ সামনে আসে। সেই ভিডিওতে দেখা যায়,ফিল্ডিংয়ের সময় বিরাট কোহলি বেশ উৎসাহী। লখনউ (এলএসজি) এর ক্রুনাল পাণ্ডিয়া আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোহলি দর্শকদের দিকে ইঙ্গিত করেন। অনেকের দাবি, গৌতম গম্ভীরকে লক্ষ্য করে সেই ইঙ্গিত করেন বিরাট।
ভাইরাল ভিডিওতে আরও দেখা যায়, বিরাট কোহলি ১৭তম ওভারে LSG-র ইনিংসের সময় ব্যাটসম্যান নবীন-উল-হককে উদ্দেশ্য করে কিছু বলেন। যার জেরে দুজনেই ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। তখন নবীনের সঙ্গে থাকা অপর ব্যাটসম্যান অমিত মিশ্র আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন।
ম্যাচের আরও একটি ফুটেজে দেখা যায়, কেএল রাহুল নবীনকে তাঁর কাছে ডাকছেন। রাহুল চেয়েছিলেন দুজনের মধ্যে বিবাদ মিটে যাক। সেজন্য তিনি বিরাট কোহলির সঙ্গে কথাও বলেন।
আরও একটি ফুটেজ সামনে আসে সেখানে দেখা যায়, নবীন-উল-হক বিরাট কোহলির সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি এবং এগিয়ে যান। তারপর ম্যাচ শেষে বিরাট এবং নবীন একনা স্টেডিয়ামে হাত মেলান। আর তা করতে গিয়েই দুজন ফের তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন।
আবার দেখা যায়, লখনউয়ের ওপেনার ব্যাটসম্যান কাইল মেয়ার্সও ম্যাচ শেষে বিরাট কোহলির সঙ্গে কথা বলছেন। কিন্তু, লখনউয়ের মেন্টর গৌতম গম্ভীর মেয়ার্সকে টেনে নিয়ে যান। তারপরই বিরাট ও গম্ভীর মুখোমুখি হন।
ম্যাচ চলাকালীন এমন একটি মুহূর্তও এসেছিল যখন গৌতম গম্ভীরকে রাগ করে বিরাট কোহলির দিকে হাঁটতে দেখা যায়। সেই সময় লখনউয়ের খেলোয়াড়রা তাঁকে থামানোর চেষ্টা করেন। কেএল রাহুলও আসেন। গম্ভীরের কাঁধে হাত রেখে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করেন বিরাট। তারপরও দুজনের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। এরপর দুজনকে আলাদা করার চেষ্টা করেন অভিজ্ঞ স্পিনার অমিত মিশ্র।
তবে কোহলি ও গম্ভীরের লড়াই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক ছিলেন গৌতম গম্ভীর। তখনও দুজনের মধ্য়ে তর্কাতর্কি হয়। ঠিক তার ১০ বছর পর ফের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।