ডুরান্ড কাপের ফাইনালে হার ইস্টবেঙ্গলের। দিমিত্রি পেত্রাতোসের দুর্দান্ত গোলে গ্রুপ লিগে হারের বদলা নিয়ে নিল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। প্রথমার্ধে শুরু থেকেই মিডফিল্ড দখলের খেলা চলতে থাকে প্রথমার্ধে তিনটে কার্ড ছাড়া বলার মতো কিছুই ছিল না।
প্রথমার্ধে মাঠের মধ্যে উত্তেজনার জেরে তিন ফুটবলারকে কার্ড দেখালে রেফারি রাহুল কুমার গুপ্তা। কার্ড দেখলেন সোল ক্রেসপো, হুগো বুমোস, বোরহা হেরেরা। কিছুক্ষণের মধ্যে রেফারি কার্ড দিয়ে সতর্ক করেন অনিরুদ্ধ থাপাকেও। দ্বিতীয়ার্ধে সিভেরিওকে ট্যাকেল করায় লাল কার্ড দেখেন অনিরুদ্ধ। আগেই হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছিল মোহনবাগান ফুটবলারকে। লাল কার্ড দেখার পর আরও আক্রমণে লোক বাড়াতে শুরু করেন মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। একে একে নামিয়ে দেন কামিন্স, গ্লেন মার্টিন্সদের। এরপরেই গোল পেয়ে যায় মোহনবাগান। মাঝমাঠ থেকে অনেকটা উঠে এসে শট করেন পেত্রাতোস। সামনে চার ফুটবলার থাকলেও কেউই তাঁকে ট্যাকেল করতে এগিয়ে আসেননি। সউল ক্রেসপোও ট্যাকেল করেননি। গোল করে যান পেত্রাতোস। এরপর চেষ্টা করেও খেলায় ফিরতে পারেননি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা।
একের পর এক ফুটবলার পরিবর্তন করেও গোল করে সমতা ফেরাতে পারেনি লাল-হলুদ। গোলের জন্য ক্লেইটন সিলভাকেও নামিয়ে দিয়েছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। ১০ জনের মোহনবাগান আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকে। যদিও দারুণ গোলকিপিং করতে থাকেন বিশাল কাইত। তার জেরেই গোল শোধ করতে পারেনি লাল-হলুদ।
এর মধ্যেই বারেবারে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দুই দলের রিজার্ভ বেঞ্চ। কার্ড দেখতে হয় লাল-হলুদের কোচকে। লাল কার্ড দেখানো হয়, সহকারী কোচ দিমাস দেলগার্ডো।
ইস্টবেঙ্গল দল- প্রভসুকান গিল, মহম্মদ রাকিপ, লালচুংনুঙ্গা, জর্ডন এলসে, মন্দার রাও দেশাই, সউল ক্রেসপো, হরমনজ্যোত সিং খাবড়া (ক্যাপ্টেন), বোরহা হেরেরা, নাওরেম মহেশ সিং, নন্দাকুমার, সিভেরিও
মোহনবাগান দল- বিশাল কাইত, আনোয়ার আলি, হেক্টর, শুভাশিস বসু (ক্যাপ্টেন), আশিস রাই, অনিরুদ্ধ থাপা, সাহাল আব্দুল সামাদ, আশিক ক্রুনিয়ান, দিমিত্রি পেত্রাতোস, হুগো বুমোস, আর্মান্দো সাদিকু