Advertisement

Kolkata Derby: সেবার কাঁদিয়েছিলেন ভাইচুং, ২৭ বছর পরেও 'তেরোর গেরো' কাটল না মোহনবাগানের

১৩ জুলাই দিনটা ইস্টবেঙ্গলের কাছে খুব স্পেশাল। ১৯৯৭ সালে এই  দিনেই ডায়মন্ড ডার্বি জিতেছিল লাল-হলুদ। সেবার ছিল ফেডারেশন কাপের ম্যাচ। আর ২০২৪-এ কলকাতা লিগের ডার্বিও জিতল ইস্টবেঙ্গল। তবে শনিবারের বড় ম্যাচের সঙ্গে সেই ম্যাচের পার্থক্য দর্শকদের উপস্থিতি। ডায়মন্ড ডার্বিতে লক্ষাধিক ফ্যান এসেছিলেন। রেকর্ড গড়েছিল বাংলার ফুটবল। আর এদিন একেবারে ফাঁকা গ্যালারি। হাজার দশেক দর্শক। যা ডার্বির সঙ্গে একেবারেই বেমানান। 

গোল করে উল্লাস ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের, ৯৭-এ হ্যাটট্রিক করে উল্লাস ভাইচুং-এর
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 13 Jul 2024,
  • अपडेटेड 8:56 PM IST

১৩ জুলাই দিনটা ইস্টবেঙ্গলের কাছে খুব স্পেশাল। ১৯৯৭ সালে এই  দিনেই ডায়মন্ড ডার্বি জিতেছিল লাল-হলুদ। সেবার ছিল ফেডারেশন কাপের ম্যাচ। আর ২০২৪-এ কলকাতা লিগের ডার্বিও জিতল ইস্টবেঙ্গল। তবে শনিবারের বড় ম্যাচের সঙ্গে সেই ম্যাচের পার্থক্য দর্শকদের উপস্থিতি। ডায়মন্ড ডার্বিতে লক্ষাধিক ফ্যান এসেছিলেন। রেকর্ড গড়েছিল বাংলার ফুটবল। আর এদিন একেবারে ফাঁকা গ্যালারি। হাজার দশেক দর্শক। যা ডার্বির সঙ্গে একেবারেই বেমানান। 

ডায়মন্ড ডার্বিতে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তরুণ ভাইচুং ভুটিয়া। প্রথম গোলটা যদিও ছিল নাজিমুল হকের। তবে ভাইচুং পরবর্তীকালে ভারতীয় ফুটবলকে শাসন করেন। শনিবারের ম্যাচেও একাধিক তরুণ প্রথমবার ডার্বিতে নেমেছিলেন। যাদের মধ্যে লাল-হলুদ জার্সিতে গোল পেলেন পিভি বিষ্ণু ও জেসিন টিকে। ইতিমধ্যেই ইস্টবেঙ্গল সিনিয়র দলে নজর কেড়েছেন বিষ্ণু। এখন দেখার ভারতীয় স্ট্রাইকারদের এই আকালের দিনে এই কেরালীয় নিজেকে কীভাবে মেলে ধরেন। জেসিনও এই মরসুমে কলকাতা লিগে দারুণ ছন্দে রয়েছেন। 

এদিন ম্যাচের ৫০ মিনিটের মাথায় প্রথম ছোবলটা মারেন পিভি বিষ্ণু। তাঁর প্রথম টাচেই কেটে যান মোহনবাগানের আমনদীপ সিং ও লেওয়ান কাস্টানা। ভেতর দিকে ঢুকে এসে প্রথম পোস্টে দুরন্ত ফিনিশ করে যান বিষ্ণু। ৬৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন জেসিন টিকে। সহজ বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি সৌরভ ভানওয়ালা। তাঁর ভুল থেকেই গোল পায় লাল-হলুদ। আমন সিকের দুরন্ত স্ন্যাচিং থেকে গোলের দরজা খুলে যায়। তাঁর ক্রস মিট করেই গোল করে যান জেসিন। দ্বিতীয়ার্ধে একটা ক্ষেত্র ছাড়া গোল করার মতো পরিস্থিতিই তৈরি করতে পারেনি মোহনবাগান। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে ১ গোল শোধ করলেও, তা জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ইনজুরি টাইমে ডানদিক থেকে ক্রস করেন টাইসন। সার্থক গলুইয়ের মাথার উপর দিয়ে সেই বল কাছে যেতেই ফ্লাইং হেডে গোল করে যান সুহেল ভাট। 

Advertisement

তবে তাঁর গোল ২৭ বছর আগের হারের দুঃখকে ভোলাবার মত যথেষ্ট তো ছিলই না উল্টে আরও এক ঐতিহাসিক দিনে মোহনবাগানের এমন আত্মসমর্পণ সেই ঘায়ে নুনের ছিটেই দিয়ে দিল। তিন ম্যাচে একটাও জিততে না পেরে কলকাতা লিগের পরের পর্বে যাওয়া কঠিন করে ফেলল সবুজ-মেরুন। প্রশ্ন উঠে গেল কেন বাঙালি কোচ বাস্তব রায়কে সরিয়ে দেগি কার্ডোজোকে কোচ করে আনাল সবুজ-মেরুন?  
     

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement