ডার্বি ম্যাচ জিতে ওড়িশা এফসিকে টপকে শীর্ষে চলে গেল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। হেরে ১০ নম্বরে ইস্টবেঙ্গল। আর এ নিয়েই কটাক্ষ করলেন মোহনবাগানের প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর উচ্ছ্বসিত তিনি। ৩-১ গোলে ডার্বি জেতার পর সৃঞ্জয় বলেন, 'আমরা ১ নম্বরে, আর তারপর ০ যোগ করলে যেটা হয়, সেই জায়গায় ইস্টবেঙ্গল।' তাঁর পাশে থাকা মোহনবাগান সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়েন।
তবে এই ডার্বি ম্যাচে টিকিটের দামে বৈষম্য নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেও মোহনবাগান ক্লাবের পক্ষ থেকে টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালচনা করেছেন প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয়। তিনি বলেন, 'আমিও প্রতিবাদ করছি দামের বৈষম্য নিয়ে। জানি না কাদের মাথা থেকে এটা বেরল। এটা ঠিক নয় ভারতীয় ফুটবলের জন্য। নিতু দাও অনেকদিন ময়দানের সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা কীভাবে এমনটা করলেন বুঝলাম না। আমি মোহনবাগান ক্লাবের সঙ্গে একমত। কিন্তু এটাও ঠিক, যে সমস্ত সদস্য সমর্থকরা টিকিট কাটতে চেয়েছিলেন তাদের ক্লাব থেকেই টিকিট পাওয়া উচিত ছিল। সেটা হয়নি। অন্য জায়গায় টিকিট খুঁজে বেড়াতে হয়েছে।'
দাপটের সঙ্গে খেলে মোহনবাগান এদিনের ডার্বি জেতে। প্রথমার্ধে ৩ গোল হয়ে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল দ্বিতীয়ার্ধে আরও গোল খেয়ে যেতে পারে ইস্টবেঙ্গল। তবে শেষ ৪৫ মিনিট নিজের দলকে কিছুটা ডিফেন্সিভ মোডে নিয়ে চলে যান আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। ফলে অনেকটা জায়গা পেতে থাকেন সউল ক্রেসপোরা। সেখান থেকেই ব্যবধান কমান চোট সারিয়ে ফেরা ক্রেসপো। ক্লেইটনের বল বুক দিয়ে রিসিভ করেই গোলে মারেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। এক্ষেত্রে বিশালের কিছু করার ছিল না।
তবে বাকি দুই গোল আর শোধ দেওয়া হয়নি ইস্টবেঙ্গলের। সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, পিভি বিষনু নামার পরে মিডফিল্ড সচল হলেও স্ট্রাইকার ক্লেইটনের গোল না পাওয়া বড় ফ্যাক্টর হয়ে গেল কার্লেস কুয়াদ্রাতের দলের জন্য।