৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জয়। ২০২২ সালটা আর্জেন্টিনা তো বটেই, গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লিওনেল মেসির ফ্যানদের কাছে যেন শাপমুক্তির বছর। বিশ্বকাপ জেতার আগে বিশ্ব ফুটবলের সমস্ত খেতাবই প্রায় জেতা হয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের। টাইব্রেকারে ফাইনাল জিতে বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে মেতেছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। বিশ্বকাপ জেতার সাত মাস পর কলকাতায় এসেও সেই আবেগই টের পেলেন ফাইনালের নায়ক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচের আগে সতীর্থ মার্টিনেজকে কী বলেছিলেন ক্যাপ্টেন মেসি? সোমবার বিকেলে কলকাতায় আসার পর থেকেই ফ্যানদের অভ্যর্থনায় ভেসে গিয়েছেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। মঙ্গলবার দুপুরে মিলন মেলায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মার্টিনেজ। সেই অনুষ্ঠানে এসেই বিশ্বকাপ ফাইনালের কথা তুলে ধরেন বিশ্বকাপ জেতা গোলরক্ষক। ম্যাচের আগে মেসি তাঁকে কী নির্দেশ দিয়েছিলেন? এমি বলেন, ‘মেসি ফাইনালের আগে আমায় বলেছিল, ‘তুই গোল বাঁচা আমরা গোল করে ম্যাচ জিতব।’ মেসির কথা শুনে নিজের কাজটাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করে গিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন গোলকিপার। ১২০ মিনিট তো বটেই টাইব্রেকারেও অপ্রতিরদ্ধ ছিলেন তিনি।
ফাইনালের কথা উঠলেই আর্জেন্টাইন ফ্যানদের চোখে ভেসে ওঠে মার্টিনেজের করা ১২০ মিনিটের সেই সেভ। ম্যাচের একেবারে শেষ মিনিটে ফ্রান্সের কলু মুয়ানির সামনে একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে পড়ে যান। দ্বিতীয় পোস্টে করা শট কোনওমতে সেভ করেন দিবু। আর সেটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট বলে ধরা হয়। শুধু তাই নয়, টাইব্রেকারেও দারুণ সেভ করে বিশ্বকাপ জেতেন মার্টিনেজ।
শুধু তাই নয়, কথা রেখেছেন লিওনেল মেসিও। ফাইনালে দু’টি গোল করেন তিনি। ২৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল করার পর, এক্সট্রা টাইমে ১০৮ মিনিটে আবারও গোল করেন মেসি। হ্যাটট্রিক করতে না পারলেও দলের জয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন আর্জেন্টাইন ক্যাপ্টেন।
মিলনমেলায় অনুষ্ঠানে লাল-হলুদ জার্সি পরেন এমিলিয়ানো। তাঁর মুখে শোনা যায়, ‘জয় ইস্টবেঙ্গল’ স্লোগানও। বিকেলে মোহনবাগান মাঠে আসবেন বিশ্বকাপজয়ী। সেখানেও অনেক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সেখানে কলকাতা পুলিশের ফ্রেন্ডস কাপে থাকবেন তিনি। শুধু তাই নয়, উদ্বোধন করবেন পেলে- মারাদোনা-সোবার্স নামাঙ্কিত মোহনবাগান গেট। এর পর রিষড়ায় যাবেন আর্জেন্টিনার গোলকিপার। মার্টিনেজকে কলকাতায় নিয়ে আসার মূল উদ্যেক্তা শতদ্রু দত্তের বাড়িতে রাতে একটি নৈশভোজের অনুষ্ঠান রয়েছে। যেখানে মার্টিনেজের সঙ্গে থাকবেন কলকাতার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। গোটা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা।