মুম্বইকে হারিয়ে প্রথমবার রনজি ট্রফি জয় করলো মধ্যপ্রদেশ। দুর্দান্ত প্রদর্শন করে রঞ্জি ট্রফি ২০২২ এর খেতাব নিজের নাম করে নিয়েছে তারা। বেঙ্গালুরুতে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে খেলা ফাইনাল মধ্যপ্রদেশ মুম্বইকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দেয় মধ্যপ্রদেশ। প্রথমবার রঞ্জি ট্রফির খেতাব জিতলেও ১৯৯৯ সালে বর্তমান কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের অধিনায়কত্বে ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিল মধ্যপ্রদেশ। যেখানে তারা কর্নাটকে কাছে ৯৬ রানে হেরে যায়। শেষমেষ তৎকালীন অধিনায়কের কোচিংয়েই শাপমুক্তি ঘটলো মধ্যপ্রদেশের।
মুম্বই ১৫৮ রানের টার্গেট দিয়েছিল
পঞ্চম দিন মুম্বইয়ের দ্বিতীয় ২৬৯ রান শেষ হয়ে যায়। এর জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে সুবেদ পার্কার সবচেয়ে বেশি রানের যোগদান করেন দলের জন্য। সেখানে টিমের জন্য সরফরাজ খান ৪৫ রান এবং ক্যাপ্টেন ৪৪ রানের ইনিংস খেলেছেন। মধ্যপ্রদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেন কুমার কার্তিকেয়। তিনি ৪ উইকেট নিয়েছেন।
১৫৮ রানের টার্গেট ছিল মধ্যপ্রদেশের সামনে
মধ্যপ্রদেশের সামনে থাকা ১৫৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাঁরা সহজেই পার করে নেন। মধ্যপ্রদেশের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে হিমাংশু মন্ত্রী সবচেয়ে বেশি ৩৭ রান করেন। সেখানে শুভম শর্মা এবং রজত পাতিদার ৩০-৩০ রানের ইনিংস খেলেছেন।
মুম্বই প্রথম ইনিংসে ৩৭৪ রান করেছিল
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে মুম্বাই প্রথম ইনিংসে ৩৭৪ রান করে জবাবে মধ্যপ্রদেশে ৫৩৬ রান করেছিল। সরফরাজ খান দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ১৩৪ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া যশস্বী জয়সওয়াল ৭৮ এবং পৃথ্বী শ-এর মধ্যে ৪৭ রান করেন।
মধ্যপ্রদেশের প্রথম ইনিংসে ১৬২ রানের এগিয়ে ছিল
৩৭৪ রানের জবাবে মধ্যপ্রদেশ ৫৩৬ রান করে। তাদের তিনজন সেঞ্চুরি করেন। শুভম শর্মা, এবং দুর্দান্ত যোগদান করেন সেঞ্চুরি করেন রজত পাতিদার ১২২, যশ দুবে ১৩৩ এবং শুভম শর্মা ১১৬ রান করেন। মুম্বইয়ের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছিলেন সামস মুলানি।
রঞ্জি ট্রফির শেষ পাঁচবারের বিজেতা
২০২১-২০২২ মধ্যপ্রদেশ
২০১৯-২০২০ সৌরাষ্ট্র
২০১৮-১৯ বিদর্ভ
২০১৭-১৮ বিদর্ভ
২০১৬-১৭ গুজরাত
মুম্বই সবচেয়ে বেশি ৪১ বার চ্যাম্পিয়ন। মধ্যপ্রদেশের দল ৮৭ বছরের রঞ্জি ট্রফি ইতিহাসে শুধুমাত্র দ্বিতীয়বার ফাইনালে খেলেছে মধ্যপ্রদেশ। সেখানে ৪১ বার চ্যাম্পিয়ন মুম্বই টিম। রেকর্ড ৪৭ বার ফাইনাল খেলেছে তারা। সেমিফাইনাল মোকাবিলায় যেখানে মধ্যপ্রদেশ বাংলাকে ১৭৪ রানে হারায়, সেখানে মুম্বই প্রথম ইনিংসে পাওয়া নিজের ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছয়।