Advertisement

Kolkata Derby: কেরলের মতো মাঠ ছেড়েছিল মোহনবাগানও, ডার্বির সেই রক্তাক্ত ইতিহাস মনে আছে ?

ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (Indian Super League) কেরল ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters) দল তুলে নেওয়ার ঘটনায় উঠে আসছে অভিশপ্ত ডার্বি (Kolkata Derby) ম্যাচের স্মৃতি। ২০১২ সালে আই লিগের ( I League) ডার্বি ম্যাচের কথা ভুলতে পারেন না কলকাতার ফুটবল সমর্থকরা। সেই ঘটনা ভুলতে পারেন না রহিম নবি (Rahim Nabi) ও মেহেতাব হোসেনও (Mehtab Hossain)। ঝামেলার জেরে প্রথমার্ধেই ম্যাচ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। শুক্রবার রাতেও রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে দল তুলে নেয় কেরল ব্লাস্টার্সও।

সেই অভিশপ্ত ডার্বি (ফাইল চিত্র)সেই অভিশপ্ত ডার্বি (ফাইল চিত্র)
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 04 Mar 2023,
  • अपडेटेड 7:39 PM IST

ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (Indian Super League) কেরল ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters) দল তুলে নেওয়ার ঘটনায় উঠে আসছে অভিশপ্ত ডার্বি (Kolkata Derby) ম্যাচের স্মৃতি। ২০১২ সালে আই লিগের ( I League) ডার্বি ম্যাচের কথা ভুলতে পারেন না কলকাতার ফুটবল সমর্থকরা। সেই ঘটনা ভুলতে পারেন না রহিম নবি (Rahim Nabi) ও মেহেতাব হোসেনও (Mehtab Hossain)। ঝামেলার জেরে প্রথমার্ধেই ম্যাচ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। শুক্রবার রাতেও রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে দল তুলে নেয় কেরল ব্লাস্টার্সও।

কী ঘটেছিল সেই ডার্বিতে
খুব অল্প সময়ের ব্যবধানেই বাগানের তিন জন খেলোয়াড় হলুদ কার্ড দেখেছিলেন। এখানেই শেষ নয়, মোহনবাগানের ওডাফা ওকোলিকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। আর এর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মোহনবাগান গ্যালারি। এসবের মধ্যোই গ্যালারি থেকে আঁধলা ইঁট উড়ে এসেছিল রহিম নবির মাথায়। রক্তাক্ত নবি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের কাঁধে চেপেই মাঠ ছেড়েছিলেন সেদিন। প্রতিবাদে ম্যাচ ছেড়ে বেরিয়ে আসে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে না নামার জন্য মোহনবাগানকে দু'বছর নির্বাসিত করা হয়েছিল। যদিও পরে সাসপেনশন উঠে যায়। ইস্টবেঙ্গলকে ম্যাচটা ৩-১ গোলের জয়ী ঘোষণা করা হয়। 

আরও পড়ুন

এই ঘটনায় যদিও এখনও ভিন্ন মেরুতে দুই ফুটবলার। সেইসময় আহত হওয়া রহিম নবি যদিও এখনও মোহনবাগান ক্লাবের তৎকালীন কর্মকর্তাদের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন। bangla.aajtak.in-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'সেই সময় সত্যি ম্যাচ করার মতো পরিস্থিতি ছিল না। তবে কালকের ম্যাচের সঙ্গে সেই ম্যাচ গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। সেই সময় গ্যালারি থেকে ঢিল উড়ে এসেছিল। আমার মাথাও ফেটে যায়। নিরাপত্তা না থাকলে ম্যাচ খেলা খুব মুশকিল। তবে সেই সময় যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কর্মকর্তারা নিয়েছেন। তবে শুক্রবার রাতে ম্যাচ ছেড়ে যাওয়া উচিত হয়নি কেরলের।'

Advertisement

যদিও একেবারে ভিন্ন মেরুতে সেদিনের ইস্টবেঙ্গলের সৈনিক মেহেতাব। তিনি আজও মনে করেন,সেদিন ভুল করেছিলেন সবুজ-মেরুন কর্তারা। মেহেতাব বলেন, 'কোনও অবস্থাতেই ম্যাচ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত নয়। ম্যাচে অনেক কিছুই হতে পারে। পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। ইউরোপিয়ান ফুটবলে সমর্থকরা আরও অনেক হিংসাত্মক কান্ড ঘটান। তা হলে কী ম্যাচ ছেড়ে চলে যাবে অ্যাওয়ে দল? ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছেড়ে বেরনোই নিয়ম। ওডাফা লাল কার্ড খাওয়ার পর ১০ জন হয়ে গিয়েছিল। আমি নবীরা পাশাপাশিই দাঁড়িয়ে ছিলাম। রেফারিও ছিলেন। রেফারিকেই হয়ত ইট ছুড়তে চেয়েছিলেন সমর্থকরা। তবে তা গিয়ে লাগে নবীর মাথায়। আমরাই ওকে বাইরে নিয়ে আসি।'

কেরল-বেঙ্গালুরু ম্যাচ নিয়েও মুখ খুলেছেন মেহেতাব। তিনি বলেন, 'আমি গতকাল খুব ব্যস্ত ছিলাম। ম্যাচ দেখার সুযোগ পাইনি। তবে যতটুকু শুনেছি তাতে বলতে পারি ম্যাচ ছেড়ে যাওয়া উচিত হয়নি। যদিও গোলটা নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। এটা না দেখে বলা যায় না।'    

Read more!
Advertisement
Advertisement