মীরাবাই চনুর পদক জয়ের রাস্তা খুবই কঠিন ছিল। কারণ তাঁর অলিম্পিকের লড়াইয়ের মাঝেই এসেছিল বিভিন্ন ধরনের বাধা। বাধা শুধু নয় শারীরিক সমস্যার মধ্যেও পড়তে হয়েছিল ভারতের এই ওয়েটলিফ্টারকে। অলিম্পিকের মধ্যেই হঠাৎ করে মীরাবাই চনুর ঋতুস্রাব শুরু হয়। পদক জয়ের আগে অলিম্পিকের লড়াইয়ে নামার আগে শুক্রবার বিকেলে থেকে ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা শুরু হয় চনুর। ওয়েলিফ্টিংয়ে নামার আগেই তিনি এই অসুবিধার মধ্যে পড়েন। ফলে শনিবার অলিম্পিকের লড়াইয়ে নামার আগে কোনও অনুশীলন করেননি তিনি। প্রশিক্ষক বিজয় শর্মাকে 'প্ল্যান বি' সঙ্গে সঙ্গে ভেবে রেখেছিলেন।
চনু এই বিষয় নিয়ে পরে মন্তব্য বলেন, 'আমার পেটে বেথা ছিল। কিন্তু সব ঠিক-ঠাক ছিল অবশেষে। বুঝতেই পারিনি হঠাৎ এমনটা কেন হল। এমনটা হলে শরীর অন্যরকম ভাবে কাজ করতে শুরু করে। মুড ও সব রকমের ছন্দ নষ্ট হয়ে যায়। চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু মেডেল তো জিততেই হবে। সেটাই আমার লক্ষ্য ছিল। দেশের হয়ে পদক জিতব। সেটা করতে পেরে আমি খুশি।'
চনুর কোচও এই বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছিলেন, এটা একটা চিন্তার বিষয় ছিল। খুব অদ্ভুত ব্যাপার ঘটে গিয়েছিল। সব কিছু এত ভাল হয়েছিল, তারপর এতটা বিপাকে পড়ে গিয়েছিলাম আমরা সেটা ভেবে ভয় লেগেছিল। কিন্তু চনু নিজের লক্ষ্যে দৃঢ় ছিল।
ঋতুস্রাবের যন্ত্রণার মধ্যে মীরাবাই চনু নিজের সেরাটা দিয়েছেন। রিও অলিম্পিকের যন্ত্রণা চনুকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল। টোকিওতে পদক জয়ের লক্ষ্যে কোনও বাধাই মানতে চাননি মীরাবাই চনু। তিনি নিজেকে সবরকম ভাবেই চেষ্টা করেছেন। ফলে আলাদা করে তিনি হতাশ করেননি কাউকে। নিজেকেও কোনওভাবে হতাশ করেননি মীরাবাই চনু।
টোকিওতে চলমান অলিম্পিক থেকে রুপোর পদক জিতে দেশে ফিরলেন মীরাবাই চনু। দিল্লী বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়েছিল। ভক্তরা ভারত মাতার জয় বলে স্বাগত জানিয়েছেন। ভক্তরা বিমানবন্দর ছাড়ার আগে মীরাবাইয়ের অপেক্ষায় ছিলেন। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, কিরণ রিজিজু, জি কিশান রেড্ডি, নীশিত প্রামানিক, অনুরাগ ঠাকুর সহ অনেকেই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।