লর্ডসে অনুষ্ঠিত অ্যাসেজ টেস্টের (Ashes Series 2023) দ্বিতীয় ম্যাচে চতুর্থ দিনে মিশেল স্টার্কের (Mitchell Starc) ধরা ক্যাচ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও এমন ঘটনা ঘটেছিল
দ্বিতীয় ইনিংসের ২৯তম ওভারে ক্যামেরন গ্রিন পঞ্চম বলে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে র্যা ম্প শট মারেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার ডাকেট। শটের টাইমিং ভালো না হওয়ায় বল হাওয়ায় উড়ে যায়। স্টার্ক বাঁ দিকে দৌড়ে ক্যাচটি ধরেন। তবে ক্যাচ নেওয়ার সময় স্টার্ক পিছলে যান, বল মাটি ছুঁয়ে যায়। মাঠের আম্পায়ার ক্যাচের ব্যাপারে নিশ্চিত হন এবং স্টার্কের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেন। যদিও থার্ড আম্পায়ার সেই আউট পরে নাকচ করেন। ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও ঠিক এমনই ঘটনা ঘটেছিল। তবে সেক্ষেত্রে ভারতীয় দলের ওপেনার শুভমন গিলকে আউট দিয়ে দিয়েছিলেন থার্ড আম্পায়ার।
ওই ম্যাচে স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ক্যামেরন গ্রিন এক হাতে শুভমান গিলের ডাইভিং ক্যাচ নেন। এরপর বিষয়টি যায় থার্ড আম্পায়ারের কাছে। সে সময় রিপ্লে দেখে মনে হয়েছিল বল মাটিতে ছুঁয়েছে, কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার রিচার্ড কেটলবরো ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত দেন। স্টার্ক এবং ক্যামেরন গ্রিনের ক্যাচের তুলনা করলে দেখা যায়, স্টার্কের চেয়ে গ্রিনের বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ বেশি ছিল। এমতাবস্থায় তৃতীয় আম্পায়ারের ওপর প্রশ্ন তোলাটাই যৌক্তিক বলে মনে হয়।
প্রশ্নের মুখে দক্ষিণ আফ্রিকান আম্পায়ার
অন্যদিকে, বেন ডাকেট চেয়েছিলেন থার্ড আম্পায়ার বিষয়টি ক্রস চেক করতে। বিষয়টি তৃতীয় আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাসের কাছেও পৌঁছায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বাসিন্দা ইরাসমাস রিপ্লে দেখার পর মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন। ইরাসমাস বিশ্বাস করেছিলেন যে স্টার্ক যখন ক্যাচটি নিয়েছিলেন, তখন বল মাটিতে স্পর্শ করার সময় তিনি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন না। অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়রা এই সিদ্ধান্তে খুব বিরক্ত দেখায় এবং মাঠের আম্পায়ারদের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে তর্ক করে।
ম্যারিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব, যে সংস্থা ক্রিকেটের নিয়মকানুন তৈরি করে, তারাও পুরো বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছে। MCC তার টুইটে বলেছে, 'বিধি ৩৩.৩-এ স্পষ্টভাবে লেখা আছে যে ক্যাচটি তখনই সম্পূর্ণ বলে ধরা হয় যখন ফিল্ডারের বল এবং তার নিজের গতির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। এর আগে বল মাটি স্পর্শ করতে পারে না। এই ক্ষেত্রে, বল যখন মাটি স্পর্শ করছিল, তখন মিচেল স্টার্ক পিছলে যাচ্ছিলেন এবং তার নিজের গতির উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল না।‘